সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব ও প্রেমের নামে তৈরি হচ্ছে ফাঁদ
- আপডেট সময় : ০৩:২৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩
- / ১৬৮৭ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে টিকটক প্রচার করে পরিচিত পায় শান্তা। প্রসিদ্ধ গান আর অভিনয়ে করে শান্তা গ্রামের পুরুষদের আকৃষ্ট করতেন। বন্ধুত্ব ও প্রেমের নামে তৈরি করতেন ফাঁদ। এরপর সুযোগ বুঝে তাদের জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন এ নারী। কুমিল্লা রফিকুল ইসলাম রফিকের প্রতিবেদন।
বঁধু বেশে টিকটকার সুন্দরী নারী ফারজানা আক্তার শান্তা ।যেমন রূপ,তেমনি তার ফাঁদ। কুমিল্লা মুরাদনগরের দক্ষিণ বাঙ্গরার দেওড়া এলাকার বাসিন্দা।একাধিক বিয়ে,উশৃংখল চালচলন,ব্ল্যাক মেইলিংইয়ের কারণে সম্প্রতি তার সংসার ভেঙেছে কয়েকটি। তার রয়েছে নিজস্ব একটি চক্র।চক্রটির মূল হোতা এই শান্তা ও তারঁ কথিত স্বামী সুমন।
রূপ লাবণ্যে মুগ্ধ সবাই, এই সুন্দরী শান্তার চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে রূপের জাদুতে ভেলকি লাগিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন বহু পুরুষ। তবুও কখনো কখনো একতরফা দোষ ভুক্তভোগী পুরুষের ঘাড়েই চেপে বসে নারী নির্যাতনের মামলা।
প্রতারণার স্বীকার শান্তার সাবেক স্বামী কাদির সহায় সম্বল হারিয়ে এখন ভ্যান চালক। আরেক স্বামী রবিউল আউয়ালকে ধর্ষণ মামলায় আসামী করলে পরে ৩ লাখ টাকা দিয়ে মীমাংসা করতে বাধ্য হয়।
বিয়ে ফাদেঁ ফেলে টাকা আদায়ই তার কাজ। কিছুদিন পরপর একেজনকে ফাদেঁ ফেলে টাকা আদায় করে শান্তা।
এসব অভিযোগের কথা স্বীকার করেন টিকটকার শান্তা বলেন, অপরাধ করলে দেশের আইন অনুযায়ী বিচার হবে তার।
লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসদেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
শান্তার প্রতারণার ঘটনাগুলোকে তদন্ত করে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি ভুক্তভোগীদের।
এসএটিভি নিউজডেস্ক।