সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনায় র্যাবের তদন্ত শুরু : খন্দকার আল মঈন
![](https://www.satv.tv/wp-content/uploads/2023/10/lazy-Copy.jpg)
- আপডেট সময় : ০৮:২০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
- / ১৬৩৩ বার পড়া হয়েছে
জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনায় র্যাবের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক, কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আপরাধীরা যেই হোক, কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এসময় মতিঝিলে ২০১২ সালে কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী– যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মাদক ব্যবসায়ী রিপন নাথ ঘোষকে গতরাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে গ্রেফতারের কথাও জানান তিনি। বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়ায় প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কনস্টেবল বাদল মিয়াকে ৪ সহযোগী মিলে নৃশংসভাবে হত্যা করে সে।
২০১২ সালে ঢাকার মতিঝিল এজিবি কলোনীতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আসামী করা হয় মাদক ব্যবসায়ী রিপন নাথ ঘোষকে। কয়েকদিন পর মাদক বিরোধী অভিযানেও গ্রেফতার হয় সে। কনস্টেবল বাদল মিয়ার ইঙ্গিতেই রিপন গ্রেফতার হয়েছে– এমন ধারণায় বাদলকে হত্যার ছক আঁকে সে।
খালাতো ভাই গোপাল চন্দ্রকে দায়িত্ব দেয়া হয় বাদল মিয়াকে খুঁজে বের করার। শাহবাগে দায়িত্ব পালনকালে রিপন তার খালাতো ভাই ও আরো ৩ সহযোগীকে নিয়ে প্রাইভেট কারে তুলে পরে গলাটিপে হত্যা করে মতিঝিল এজিবি কলোনীতে ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়েরের পর আসামীদের অনুপস্থিতিতে সবার যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজতে থাকে আসামীদের। সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের পরিচালক জানান, বাদল মিয়াকে হত্যার পর রিপন পরিচয় গোপন করে টাঙ্গাইলে বাসের হেলপারির পাশাপাশি মাদক ব্যবসাও চালিয়ে আসছিলো।
এ সময় জামালপুরে ৭১ টেলিভিশনের সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনায় রেব তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।অপরাধীরা যতো প্রভাবশালীই হোক, দ্রুত আইনের আওতায় নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।