সরবরাহ থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আম ও লিচু

- আপডেট সময় : ০৪:২৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
- / ১৬৯১ বার পড়া হয়েছে
মৌসুমী দেশী ফলে ঠাসা রাজধানী ঢাকার বাজার। হরেক রকম আম ও লিচুর সরবরাহ থাকলেও দাম চড়া। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তবে পরিবহন ভাড়াসহ বিরাজমান পরিস্থিতিতে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন বিক্রেতারা। এদিকে, আমদানী শুল্ক বৃদ্ধি ও ডলারের দাম বাড়ায়, বাজারে নতুন করে আরেক দফা বেড়েছে বিদেশী ফলের দাম।
আম, জাম, কাঠাল, লিচুসহ রাজধানীর বাজারে এখন মৌসুমি ফলের সমাহার।
লিচু রসালো হওয়ায়, শুরু থেকেই ক্রেতাদের চাহিদা ব্যাপক। বাজারে লিচুর সরবাহ ভালো। মান ও আকার ভেদে ১০০ লিচুর বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা।
বাজারে মৌসুমী আরেক ফল আমের সরবাহ প্রচুর। তবে দাম কিছুটা চড়া। হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংরা ও দেশী আম প্রকার ভেদে ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
লিচু ও আমের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
তবে বিক্রতারা বলছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় দাম সহনীয়।,পাইকারদের কাছ থেকে বাড়তি দাম কিনতে হচ্ছে বলেই খুচরা পর্যায়ে দাম একটু বেশি।
মৌসুমী ফল কালো জামের সরবরাহ কম; তবে দাম আকাশচুম্বী। ভালো মানের এক কেজি জাম বিক্রি হচ্ছে চারশ টাকায় তবে বাজারে ২০০ থেকে আড়াইশ টাকা কেজি দরেও জাম পাওয়া যায়।
এদিকে সরকার নতুন করে শুল্ক আরোপ করায় বাজারে আমদানিকৃত বিদেশি ফলের দাম আরেক দফা বেড়েছে। আপেল ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাল্টা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, আনার ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে বিদেশি ফলের সরবরাহ স্থিতিশীল। তবে দামের ব্যাপারে ক্রেতারা নাখোশ হলেও বিক্রেতারা জানালেন অসহায়ত্বের কথা।
দামের কারণে ভরা মৌসুমে দাম বেশি হওয়ায় অনেক ফলই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকছে।