সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এমপির সহযোগিতায় চলছে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের কাজ। ফলে নদী তীরবর্তী স্থাপনাগুলো পড়েছে হুমকির মুখে। এই অবৈধ প্রক্রিয়া বন্ধে নানা কর্মসূচি পালন করেও কোন সুফল পাননি এলাকাবাসী। প্রশাসন চাইছে সবার সহযোগিতা। কিন্তু এমপি সব অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেদের সৎ লোক বলে দাবি করছেন। এমপির অভিযোগ, বাতেন চেয়ারম্যান এবং তার অনুসারীরা মিথ্যা অপপ্রচার করছে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিনোটিয়া, মাজ্জান, মোওয়া খোলা, শ্রীফলতলা, কৌজুরী ও বেড়ার মোহনগঞ্জে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে অবৈধ ১০/১২টি ড্রেজার বসানো হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই কাজ করছে স্থানীয় এমপির ছেলে সুমগ্ন করিমসহ প্রভাবশালী নেতারা।
বালু উত্তোলনের কুফলে এলাকার শত শত বাড়িঘর গেলো বছরের বন্যায় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অব্যাহত ভাঙ্গণে নতুন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ৮ গ্রামের কয়েক শত বাড়িঘর যমুনায় ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
বালু উত্তোলনের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভ্রাম্যমান আদালত সংশ্লিষ্ট এলাকায় অভিযানে নামে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান, তার ও তার সন্তানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
প্রভাব মুক্ত হয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের মাধ্যমে নদী পাড়ের মানুষদের দু:খ ঘুচবে এমনটা প্রত্যাশা সকলের।