দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে চার জেলায় ৬ জন নিহত
- আপডেট সময় : ১২:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫২১ বার পড়া হয়েছে
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় চার জেলায় ৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো শতাধিক। নরসিংদীর ভোটকেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হন। এছাড়া, কক্সবাজার, কুমিল্লা, চট্টগ্রামে তিন জন নিহত হয়েছে। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড, সাতক্ষীরার বৈকারি, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, নারায়ণগঞ্জের ধামগড় ও হবিগঞ্জের আজমীরিগঞ্জে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৬০ জন। বাড়িঘর ভাংচুর, ব্যালট পেপারে আগুন দিলে পুলিশের টিয়ারশ্যাল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপবোমা বিস্ফোরণের কারণে মাদারীপুরের কালকিনিতে আন্ডারচর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের জলসুখা ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক,
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হন আরও ৪ জন। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সালাউদ্দিনকে নিজের কর্মী বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে ভোট চলাকালীন সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরো আকতারুজ্জামান নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হন ৬ জন।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার আমিরাবাদে নির্বাচনী সংঘর্ষে শাওন মিয়া নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০জন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন কেন্দ্রে সহিংসতায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ১০টি পেট্রোল বোমাও উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরায় ভোট গ্রহণ শুরু হবার পরই বৈকারি ইউনিয়নের খলিল নগরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আসাদুজ্জামান ও তার ছেলে জহির রায়হান হৃদয়সহ ৮ জন প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন। তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজীতে ভোট শুরুর আগে কেন্দ্র দখলে নিতে হামলা-গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হন দু’জন।
মাদারীপুরের কালকিনিতে আন্ডারচর ভোটকেন্দ্রে ৫০টি হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে একদল দুর্বৃত্ত। এঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত রাখা হয়।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ধামগড় ইউনিয়নের জাঙ্গাল কেন্দ্রে নির্বাচনী সংঘর্ষ হয়েছে। নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুম আহমেদের লোকজন পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে ভেতরে সিল দিতে দেখা যায়। এসময় পুলিশ ও নৌকার সমর্থকদের আটকে দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়লে ১৫ জন আহত হয়।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের সমর্থকেরা ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল দেয়াকে কেন্দ্র করে বেলা ১২টা থেকে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে প্রশাসন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গার জুড়ানপুর ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সজিব মাহমুদ কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছে।