শেরপুরে পানি কমলেও ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
- আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ১৬৫৪ বার পড়া হয়েছে
শেরপুরে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় উজান থেকে পানি নেমে ভাটির দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সদর উপজেলা ও নকলা উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এখনো পানিবন্দি এসব এলাকার লাখো মানুষ। বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার, ধলা ও বাজিতখিলা ইউনিয়ন এবং নকলা উপজেলার পৌরসভার আংশিক, গণপদ্দি, উরফাসহ অন্তত ১০টি ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে এসব এলাকার বহু মানুষ।পানিতে ডুবে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, কবরস্থানসহ দোকানপাট, আমন-রোপা ধান ও সবজির ক্ষেত। আর পানিতে ভেসে গেছে বহু পুকুরের মাছ।
রোববার দুপুর থেকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।
জেলার ভোগাই, চেল্লাখালী, মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪০হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ ও প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির সবজির আবাদ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পাশাপাশি মহারশি নদীর ৪টি স্থানে ও চেল্লাখালী নদীর ২টি স্থানে ব্যাপক ভাঙন হয়েছে।
ইতোমধ্যে পানি নামতে শুরু করায় নিম্নাঞ্চলের কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলছেন, পানিবন্দীদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা চলমান রয়েছে।
বন্যার পানিতে ডুবে নিহতদের মধ্যে নালিতাবাড়ীর এক নারীসহ ৬জন ও নকলা উপজেলার একজন আর এখনো নিখোঁজ রয়েছে দুইজন।