০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

শরণার্থী আসা বাড়ায় জার্মানিতে আশ্রয়ের অধিকার নিয়ে বিতর্ক

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:০০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৭২৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন বাড়তে থাকায় কয়েকজন রাজনীতিবিদ আবেদনের সংখ্যা সীমিত করা বা আবেদন করার অধিকার একেবারে বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে জার্মান সংবিধানে আশ্রয়ের অধিকারের কথা বলা আছে৷

বিরোধী দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী পার্টি সিডিইউর শীর্ষস্থানীয় নেতা ইয়েন্স স্পান সম্প্রতি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ অনিয়ন্ত্রিত আশ্রয়-অভিবাসন থেকে জার্মানির বিরতি দরকার৷” তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধ বা সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের ইন্টিগ্রেট করতে সময় ও সম্পদ লাগে৷ সেটা ভালোভাবে করা তখনই সম্ভব যদি অতিরিক্ত আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে যায়৷”

জাতিসংঘের হিসেবে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে৷ জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন বাড়ছে৷ এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত এক লাখে ৭৫ হাজার ২৭২ জন জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন৷ গতবছরের একই সময়ের তুলনায়এই সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি৷ সিরিয়া, আফগানিস্তান ও তুরস্কের মানুষেরা বেশিরভাগ আবেদন করেছেন৷ ২০২২ সালের তুলনায় এ বছর তুর্কিদের আবেদন প্রায় তিন গুণ বেড়েছে৷

বর্তমান জোট সরকারের নেতৃত্ব দেয়া দল সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি পার্টির সাবেক প্রধান সিগমার গাব্রিয়েল জার্মানির আরএনডি মিডিয়া গোষ্ঠীকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের পক্ষে মন্তব্য করেছেন৷

এদিকে, জার্মানির অভিবাসনবিরোধী দল এএফডি ২০১৫ সাল থেকেই আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে আসছে৷ সাম্প্রতিক সময়ে এই দলের প্রতি সমর্থন বেড়েছে৷ সবশেষ জরিপ অনুযায়ী, জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এখন এএফডি৷

সংবিধানে আশ্রয়ের অধিকার

জার্মানি বিশ্বের কয়েকটি দেশের একটি যার সংবিধানে এমন অধিকারের কথা বলা আছে৷ ১৬এ ধারা বলছে, ‘‘রাজনৈতিকভাবে নির্যাতিত ব্যক্তিদের আশ্রয়ের অধিকার রয়েছে৷”

তবে ১৯৯৩ সালে এই ধারা সংশোধন করা হয়৷ সংশোধিত এই ধারা বলছে, একজন মানুষ তখনই জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন যদি তিনি তথাকথিত নিরাপদ তৃতীয় দেশের মাধ্যমে না আসেন৷

গত জুলাইতে সিডিইউর সাংসদ টর্স্টেন ফ্রাই একজন ব্যক্তির আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ এর পরিবর্তে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে প্রতিবছর তিন থেকে চার লাখ শরণার্থী ঠিক করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রস্তাব করেছিলেন৷

তবে জার্মানির বর্তমান জোট সরকার এই অধিকার বাতিল সমর্থন করবে বলে মনে হয় না৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজা বুধবার স্পিগেল ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘‘আমি একজন ব্যক্তির আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের একেবারে বিপক্ষে৷”

‘‘অভিবাসন সীমিত করার জন্য মানবাধিকার স্থগিত করা” একটি ‘সমাধান’ হতে পারে না বলে ভেল্ট সংবাদপত্রকে বলেছেন জোটসঙ্গী সবুজ দলের অভ্যন্তরীণ নীতি বিষয়ক মুখপাত্র লামিয়া কাদ্দোর৷

তবে জার্মান সরকার নতুন শরণার্থী আসার সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে৷ সেজন্য তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয় আইন সংস্কারের পক্ষে চেষ্টা চালাচ্ছে৷

জার্মানি চাইছে, যাদের আশ্রয় আবেদন অনুমোদন পাওয়ার সুযোগ কম তাদেরকে যেন ইইউ সীমান্তের বাইরে থেকেই পাঠিয়ে দেয়া সম্ভব হয়৷ তাহলে জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থী আসার সংখ্যা কমবে৷

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শরণার্থী আসা বাড়ায় জার্মানিতে আশ্রয়ের অধিকার নিয়ে বিতর্ক

আপডেট সময় : ১২:০০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন বাড়তে থাকায় কয়েকজন রাজনীতিবিদ আবেদনের সংখ্যা সীমিত করা বা আবেদন করার অধিকার একেবারে বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে জার্মান সংবিধানে আশ্রয়ের অধিকারের কথা বলা আছে৷

বিরোধী দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী পার্টি সিডিইউর শীর্ষস্থানীয় নেতা ইয়েন্স স্পান সম্প্রতি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ অনিয়ন্ত্রিত আশ্রয়-অভিবাসন থেকে জার্মানির বিরতি দরকার৷” তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধ বা সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের ইন্টিগ্রেট করতে সময় ও সম্পদ লাগে৷ সেটা ভালোভাবে করা তখনই সম্ভব যদি অতিরিক্ত আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে যায়৷”

জাতিসংঘের হিসেবে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে৷ জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন বাড়ছে৷ এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত এক লাখে ৭৫ হাজার ২৭২ জন জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন৷ গতবছরের একই সময়ের তুলনায়এই সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি৷ সিরিয়া, আফগানিস্তান ও তুরস্কের মানুষেরা বেশিরভাগ আবেদন করেছেন৷ ২০২২ সালের তুলনায় এ বছর তুর্কিদের আবেদন প্রায় তিন গুণ বেড়েছে৷

বর্তমান জোট সরকারের নেতৃত্ব দেয়া দল সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি পার্টির সাবেক প্রধান সিগমার গাব্রিয়েল জার্মানির আরএনডি মিডিয়া গোষ্ঠীকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের পক্ষে মন্তব্য করেছেন৷

এদিকে, জার্মানির অভিবাসনবিরোধী দল এএফডি ২০১৫ সাল থেকেই আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে আসছে৷ সাম্প্রতিক সময়ে এই দলের প্রতি সমর্থন বেড়েছে৷ সবশেষ জরিপ অনুযায়ী, জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এখন এএফডি৷

সংবিধানে আশ্রয়ের অধিকার

জার্মানি বিশ্বের কয়েকটি দেশের একটি যার সংবিধানে এমন অধিকারের কথা বলা আছে৷ ১৬এ ধারা বলছে, ‘‘রাজনৈতিকভাবে নির্যাতিত ব্যক্তিদের আশ্রয়ের অধিকার রয়েছে৷”

তবে ১৯৯৩ সালে এই ধারা সংশোধন করা হয়৷ সংশোধিত এই ধারা বলছে, একজন মানুষ তখনই জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন যদি তিনি তথাকথিত নিরাপদ তৃতীয় দেশের মাধ্যমে না আসেন৷

গত জুলাইতে সিডিইউর সাংসদ টর্স্টেন ফ্রাই একজন ব্যক্তির আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ এর পরিবর্তে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে প্রতিবছর তিন থেকে চার লাখ শরণার্থী ঠিক করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রস্তাব করেছিলেন৷

তবে জার্মানির বর্তমান জোট সরকার এই অধিকার বাতিল সমর্থন করবে বলে মনে হয় না৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজা বুধবার স্পিগেল ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘‘আমি একজন ব্যক্তির আশ্রয়ের অধিকার বাতিলের একেবারে বিপক্ষে৷”

‘‘অভিবাসন সীমিত করার জন্য মানবাধিকার স্থগিত করা” একটি ‘সমাধান’ হতে পারে না বলে ভেল্ট সংবাদপত্রকে বলেছেন জোটসঙ্গী সবুজ দলের অভ্যন্তরীণ নীতি বিষয়ক মুখপাত্র লামিয়া কাদ্দোর৷

তবে জার্মান সরকার নতুন শরণার্থী আসার সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে৷ সেজন্য তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয় আইন সংস্কারের পক্ষে চেষ্টা চালাচ্ছে৷

জার্মানি চাইছে, যাদের আশ্রয় আবেদন অনুমোদন পাওয়ার সুযোগ কম তাদেরকে যেন ইইউ সীমান্তের বাইরে থেকেই পাঠিয়ে দেয়া সম্ভব হয়৷ তাহলে জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থী আসার সংখ্যা কমবে৷