শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পঞ্চগড়ের রসালো মিস্টান্ন টোপা। খেতে যতটা সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ হওয়ায় ক্রমান্বয়ে বেড়েছে এর চাহিদা। শতবছর পূর্বে আন্ধারী বেগম নামের এক মহিলা বিশেষ এ মিস্টান্ন তৈরি করে বিক্রি করতো। সেই থেকে এখন পর্যন্ত সমান চাহিদা ধরে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী এ মিস্টান্নটি।
চালের গুঁড়ো, ময়দা, চিনি অথবা গুড় দিয়ে পঞ্চগড়ে স্থানীয় ভাবে তৈরী রসালো মিষ্টান্ন টোপা পঞ্চগড়ে অতিথি আপ্যায়ন আর বন্ধুদের চা চাক্রের আড্ডায় বেশ জনপ্রিয়।
কৃত্রিম কোন রং বা কেমিক্যাল না মেশানোয় ক্রেতাদের চাহিদাও বেশি। দামেও বেশ সস্তা। রসনা বিলাসের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে উপহার হিসেবে। এছাড়া স্কুল-কলেজের টিফিনেও জনপ্রিয় এ মিস্টান্নটি।
বংশ পরম্পরায় টোপা বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার পথ খুঁজে পেয়েছেন ক্ষুদ্র এ ব্যবসায়ী।
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের কাছে নিজের ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারছেন স্থানীয়রা।
নিরাপদ ও নির্ভেজাল খাবারের তালিকায় টোপা এগিয়ে।