নানা রকম পোশাকের ভিড়ে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গি এখনো শহর কিংবা গ্রামে দারুন জনপ্রিয়। এই লুঙ্গি তৈরীতে সুনাম অর্জন করেছে পাবনার চাঁচকিয়ার তাঁতীরা। সারাদেশের মধ্যে এখনকার লুঙ্গি গুণেমানে সেরা বলে দাবি করে স্থানীয়।
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়ন। কৃষি ও শিল্পের মিশ্রণে এই ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে এক পরিশ্রমী জনপদ চাঁচকিয়া গ্রাম। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এই গ্রামের তাঁতীরা পরম যত্নে তৈরী করেন সেরা লুঙ্গিটি। নাম চাঁচকিয়ার লুঙ্গি।
যে লুঙ্গির সুনাম দেশজুড়ে। এখানকার উন্নতমানের লুঙ্গি এখন দেশের গন্ডি পেরিয়ে বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানী হচ্ছে। এই লুঙ্গিকে ঘিরে জেলার আতাইকুলায় বসে লুঙ্গির এক বিশাল হাট। তবে করোনায় এখন আর আগের মত ক্রেতা মেলেনা হাটে।
হস্ত চালিত তাঁত, কাঠ ও লোহার মিশ্রণে সহজভাবে তৈরী এমন এক প্রকার যন্ত্র যা মানুষ তার হাত ও পায়ের সমন্বয়ে চলে। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়াই বিলীন হতে বসেছে হস্ত চালিত তাঁত।
প্রকার ভেদে বিক্রি ৫’শ থেকে হাজার টাকায়। কিন্তু ভালো নেই লুঙ্গি তৈরির কারিগররা। তাঁতীদের অভিযোগ, সুতা-রঙসহ আনুসাঙ্গিক উপকরণের দাম বেড়েছে, ফলে লোকসান গুনছেন তারা। করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে দিতে ব্যাংকের মাধ্যমে তাঁতীদের প্রনোদনা দেয়ার কথা জানালেন এই কর্মকর্তা। তাঁতীদের সুদিন ফিরে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।