দেশ-বিদেশ থেকে আসা লাখো ভক্তের ভিড়ে এখন মুখরিত কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া লালন আখড়া বাড়ী। ১৩২তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে ফকির-বাউল, গুরু-শিষ্য, ভক্ত আর দর্শনার্থীদের আনন্দ-উল্লাসে পুরো এলাকা এখন মহাউৎসবে পরিণত হয়েছে।
বিপুল মানুষের এই সমাগম কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় বাউল সম্রাট লালন সাঁইর আখড়াবাড়ীতে থাকবে আরও দুদিন। ‘মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার, সর্বসাধন হয় তাঁর’ এমন বাণীতে উদ্ধুদ্ধ হয়ে গুরু-শিষ্যের ভক্তি বিনিময় চলছে অডিটোরিয়ামের নিচে। করোনার কারণে দুটি বছর সাঁইজীর চরণে ভক্তি দিতে না পারলেও এবার উৎসবে অংশ নিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে চান লালন-ভক্ত বাউলরা।
মহাত্মা লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী মানুষ। তার মত-পথ-নির্দেশনা সব মানুষের কল্যাণে। সঙ্গীতের মাধ্যমে তাঁর সেই দর্শনকে জানা এবং ভক্তি নিবেদন করে মুক্তির আকাঙ্ক্ষার কথা জানালেন উৎসবে যোগ দেয়া দেশী-বিদেশী ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।
মানুষের ভেতরেই রয়েছে মহান সৃষ্টিকর্তার সত্ত্বা। মানবসেবার মাধ্যমে সেই স্রষ্টা-প্রেমই লালনের দর্শন বলে মত এই গবেষকের।
তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার লালন মঞ্চে সোমবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী এই উৎসব শেষ হবে কাল বুধবার।