র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন নামে এক সরকারী কর্মচারীর মৃত্যু নিয়ে চলছে লুকোচুরি। পরিবারের অভিযোগ, র্যাবের নির্যাতনেই মারা গেছে জেসমিন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সে রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে র্যাব দাবি করছে, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে জেসমিনের। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।
ফেসবুকে রাজশাহীর একজন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নাম ও ছবি ব্যবহার করে চাকরি দেয়ার নামে টাকা তুলতেন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিন- এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজপাড়া থানায় মামলা করেছিলেন ওই কর্মকর্তা। তবে এই মামলার আগের দিন বুধবার জেসমিনকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে আটক করে নিয়ে যায় র্যাব।
র্যাব হেফাজতে থাকা জেসমিনকে অসচেতন অবস্থায় রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মারা যান জেসমিন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেসমিনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
হেফাজতে থাকা অবস্থায় জেসমিনের মৃত্যুর বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে ক্যামেরার মুখোমুখি হতে রাজি হননি রাজশাহী র্যাব- পাঁচের অধিনায়ক। তবে তিনি জানান, কোর্টে দায়ের হওয়া আরেকটি মামলায় জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল।
এদিকে পরিবারের অভিযোগ, জেসমিনকে আটকের পর চিকিৎসা থেকে মরদেহ হস্তান্তর- সবই করেছে র্যাব। এদিকে র্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। আজ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।