০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের কুটনৈতিক তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:২১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের প্লেনারি সেশনে এবারো ভোট দান থেকে বিরত থেকেছে ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কাসহ সার্কের অধিকাংশ দেশ। আর মিয়ানমারের পক্ষে ভোট দিয়ে সরাসরি গণহত্যাকে সমর্থন করেছে চীন, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, জিম্বাবুয়েসহ ৯টি দেশ। তবে গেলবার মিয়ানমারের পক্ষে থাকা কেনিয়া, গিনি, ক্যামেরুনসহ ৯টি দেশ অবস্থান বদলে ভোট দিয়েছে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে। এই ঘটনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কিছুটা বেগবান হওয়ার আশা থাকলেও ভারত, চীন আর রাশিয়ার মত বড় দেশগুলোর অবস্থান অপরিবর্তিত থাকায় বাংলাদেশের কুটনৈতিক তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

প্রতি বছরের মতো ৩১ ডিসেম্বর রাতে জাতিসংঘের প্লেনারি সেশন। এতে উঠে আসে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিও। এতে মিয়ানমারকে অভিযুক্ত করে একটি প্রস্তাবনাও পাশ হয় ১৩০ বাই ৯ ভোটে। অর্থাৎ জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত ১৩০ টি দেশ মনে করে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান সহিংসতার জন্য রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারই দায়ী। আর মিয়ানমারসহ ৯ টি দেশের বিশ্বাস এমন পরিণতির জন্য রোহিঙ্গারাই দায়ি। তবে ভোটদানে বিরত থেকে কোন পক্ষেই অবস্থান নেয়নি ২৫টি দেশ। দু:খজনভাবে এই ২৫ টি দেশের মধ্যে সার্কের সদস্যভুক্ত দেশের আধিক্যই বেশি।

তবে আশার কথা, গেল বার মিয়ানমারের পক্ষে থাকা ক্যামেরুন, কেনিয়া, গিনিসহ ৯ টি দেশ এবার ভোট দিয়েছে বিপক্ষে। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কিছুটা আশা জাগালেও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান পরিবর্তন করতে না পারলে সংকটের সমাধান কঠিন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা ।

আর আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত ব্যক্তিদের দিয়ে আরেকটি বিশেষ প্যানেল তৈরী করা উচিত বাংলাদেশের।

১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু হয় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের। তবে সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে ২০১৭ সালের আগষ্টে। সবমিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার চাপ এখন বাংলাদেশের কাধে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের কুটনৈতিক তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে

আপডেট সময় : ০২:২১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের প্লেনারি সেশনে এবারো ভোট দান থেকে বিরত থেকেছে ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কাসহ সার্কের অধিকাংশ দেশ। আর মিয়ানমারের পক্ষে ভোট দিয়ে সরাসরি গণহত্যাকে সমর্থন করেছে চীন, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, জিম্বাবুয়েসহ ৯টি দেশ। তবে গেলবার মিয়ানমারের পক্ষে থাকা কেনিয়া, গিনি, ক্যামেরুনসহ ৯টি দেশ অবস্থান বদলে ভোট দিয়েছে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে। এই ঘটনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কিছুটা বেগবান হওয়ার আশা থাকলেও ভারত, চীন আর রাশিয়ার মত বড় দেশগুলোর অবস্থান অপরিবর্তিত থাকায় বাংলাদেশের কুটনৈতিক তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

প্রতি বছরের মতো ৩১ ডিসেম্বর রাতে জাতিসংঘের প্লেনারি সেশন। এতে উঠে আসে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিও। এতে মিয়ানমারকে অভিযুক্ত করে একটি প্রস্তাবনাও পাশ হয় ১৩০ বাই ৯ ভোটে। অর্থাৎ জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত ১৩০ টি দেশ মনে করে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান সহিংসতার জন্য রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারই দায়ী। আর মিয়ানমারসহ ৯ টি দেশের বিশ্বাস এমন পরিণতির জন্য রোহিঙ্গারাই দায়ি। তবে ভোটদানে বিরত থেকে কোন পক্ষেই অবস্থান নেয়নি ২৫টি দেশ। দু:খজনভাবে এই ২৫ টি দেশের মধ্যে সার্কের সদস্যভুক্ত দেশের আধিক্যই বেশি।

তবে আশার কথা, গেল বার মিয়ানমারের পক্ষে থাকা ক্যামেরুন, কেনিয়া, গিনিসহ ৯ টি দেশ এবার ভোট দিয়েছে বিপক্ষে। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কিছুটা আশা জাগালেও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান পরিবর্তন করতে না পারলে সংকটের সমাধান কঠিন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা ।

আর আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত ব্যক্তিদের দিয়ে আরেকটি বিশেষ প্যানেল তৈরী করা উচিত বাংলাদেশের।

১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু হয় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের। তবে সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে ২০১৭ সালের আগষ্টে। সবমিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার চাপ এখন বাংলাদেশের কাধে।