রাতে মার্কেট বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য : জানিয়েছে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০৫:০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
রাত ৮টার পর মার্কেট ও বিপণী বিতান বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, একারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবসা বাণিজ্য। সন্ধ্যার পর দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত করোনা পরবর্তী মরার ওপর খাড়ার ঘা। সিদ্ধান্ত পুণর্বিবেচনার আহবান জানিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে শুধু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অজুহাতে মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাতীয় অর্থনীতি।
দেশের ২য় বৃহত্তম পাইকারী কাপরের বাজার চট্টগ্রামের টেরিবাজারের চিত্র এটি। ছোট বড় অন্তত ৩ হাজার দোকান ও গুদামে ব্যবসা করেন অন্তত ৫ হাজার ব্যবসায়ী। ২০২০ সাল থেকেই করোনাসহ নানান কারণে দফায় দফায় সরকারের নানান সিদ্ধান্ত মানতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকের দেনা সময়মত পরিশোধ করতে না পেরে দেউলিয়া হয়েছেন অনেকে।
করোনার ভয়াবহতা কমে আসার পর ব্যবসায়ীরা যখন ঘুরে দাড়ানোর সংগ্রামে ব্যস্ত ঠিক তখনই রাত ৮ টার পর দোকান বন্ধের নতুন সিদ্ধান্তে চাপিয়ে দিয়েছে সরকার। এতে ক্ষুব্ধ এই বাজারের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো বলছে, রাত ৮ টায় দোকান বন্ধ করতে হলে, সন্ধ্যা ৭ টার আগেই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কিন্তু তখনই বেচাকেনা জমে ওঠার সময়। তাই অন্তত রাত ১০ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি না দিলে, নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম চেম্বার বলছে, ক্ষদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারের বড় একটি অংশ দুই ঈদে ব্যবসা করে সারা বছরের অবলম্বন যোগায়। কোরবানীর ঈদের আগে এই ধরণের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাতীয় অর্থনীতি।
রোববার হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অজুহাতে রাত ৮ টার মধ্যে দোকানপাট, মার্কেট, বিপনিবিতান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই তা কার্যকর করে প্রশাসন।