রাজশাহীতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ বিকৃতির অভিযোগ সাবেক মেয়র লিটনের বিরুদ্ধে
- আপডেট সময় : ০৪:৫১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১৭৭১ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে রাষ্ট্রপতি এরশাদের আমলে নির্মিত মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের বিকৃতি ঘটিয়ে খেয়াল খুশি মতো রূপ দিয়েছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়র থাকাকালে কয়েক দফা এই কাণ্ড করেন তিনি। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থপতি রাজিউদ্দিন আহমেদ।শিল্পমান রক্ষায় এটিকে আগের রূপে ফেরানোর দাবি তাঁর। রাজশাহী থেকে জিয়াউল গনি সেলিমের প্রতিবেদন।
রাজশাহী নগরীর ভদ্রা মোড়ে এই স্মৃতিস্তম্ভটি বাংলাদেশের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে মাটি ফুঁড়ে বেড়ে ওঠা গাছের চারার সাথে তুলনা করে এটি নকশা করেছিলেন স্থপতি রাজিউদ্দিন আহমেদ। যা স্মৃতি অম্লান নামে পরিচিত। এই তিনটি স্মৃতিস্তম্ভের উচ্চতা ভূমি থেকে প্রায় ৮০ ফুট। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগতি নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৪টি ধাপ। তিনটি স্তম্ভে ১০টি করে ৩০টি ছিদ্রকে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ৩০ লক্ষ মানুষের অবদানের প্রতীক হিসাবে রাখা হয়েছে বলে জানান স্থপতি।
স্মৃতিস্তম্ভটির বেদীমূলে ছিল নীল-অভ্র পাথরের আচ্ছাদন। প্রায় দু’লক্ষ নির্যাতিত মা-বোনের বেদনার প্রতীক হিসাবে এই পাথরের আচ্ছাদনকে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে সেই পাথর সরিয়ে বেদীমূলে ফুলের বাগান করেছে সিটি কর্পোরেশন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থাপত্যশিল্পী।
তবে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, স্মৃতিস্তম্ভটির আগের রূপে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৯৯০ সালে এটি নির্মাণে অর্থায়ন করে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অর্থের সংকুলান না হওয়ায় বিনা পারিশ্রমিকেই এটির নকশা ও নির্মাণকাজ তদারকি করেন স্থপতি রাজিউদ্দিন আহমেদ।