আদালতের নির্দেশে রাজশাহীতে পাখির বাসার জন্য আমবাগান ভাড়া নিয়েছে সরকার। বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামে শামুকখোল পাখি বসবাসের জন্য বাগান মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। বেশ কয়েক বছর ধরে এ বাগানে বাসা বেঁধে বাচ্চা ফুটিয়ে উড়াল দেয় পাখির ঝাঁক।
কয়েক বছর ধরেই বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের পাঁচ আমচাষীর বাগান দখলে নিয়েছে শামুকখোল পাখির দল। গাছে হাজারো পাখি বাসা বাঁধায় আমের ফলন পান না মালিকরা। গাছও মরে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাখি তাড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেন মালিকরা। তবে উচ্চ আদালতের স্বপ্রণোদিত রুল জারির পর পাখির বাসা সংরক্ষণে উদ্যোগ নেয় সরকার।এরমধ্যে তিন লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও আবাসস্থল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাগানটির পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সহযোগিতা দিচ্ছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদও।
প্রতি বছরই বাসা বাঁধলেও স্থায়ীভাবে এখনো এটিকে পাখির অভয়াশ্রম করার সিদ্ধান্ত হয়নি।
১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী আইনে শামুকখোল সংরক্ষিত পাখি। গেল বছরের ৭ নভেম্বর এই আমবাগানে থাকা পাখির বাসাগুলো না ভাঙতে ও বাগান মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে স্বপ্রণোদিত রুল জারি করেন আদালত।