যশোরে ভেজাল মদপানে কয়েক দিনে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবার ও পুলিশ এক মদ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটক করেছে। একই সাথে মদের নমুনা উদ্ধার করে, তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
করোনার কারণে মদের চালান আসছে না যশোরে। এই সুযোগে সংঘবদ্ধ একাধিক চক্র স্পিরিট ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করছে বিষাক্ত মদ। যা সেবন করে গত কয়েকদিনে জেলাসদর, চৌগাছা, কেশবপুর ও মণিরামপুরে মারা গেছেন কমপক্ষে ১৮জন। অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও কয়েকজন।
শহরের কেন্দ্রস্থল কোতয়ালি থানা ও মাড়োয়ারি মন্দির সংলগ্ন পতিতালয়ের গা-ঘেঁষে বহুল আলোচিত হাসানের এবং পাশের বাবুবাজার পতিতালয় এলাকায় রয়েছে মোতালেবের অবৈধ মদের কারবার। অভিযোগ আছে, এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বেই তৈরি হয় বিষাক্ত ভেজাল মদ। যা পানে জেলাজুড়ে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল।
নিম্ন শ্রেণীর কিছু কর্মচারির যোগসাজসে অবৈধভাবে মদের ব্যবসা চলছিল বলে দাবি পুলিশের। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে অবৈধ মদের দোকানগুলি। আটক করা হয়েছে দু’জনকে। এছাড়া মহামারির মধ্যে কিভাবে চলছিল এসব দোকান সেব্যাপারেও খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
মদ সেবনে মৃত্যুর ঘটনায় কোতয়ালি থানায় বিষাক্ত মদের কারবারি মাহমুদুল হাসান ও তার কর্মচারি সাজু’র বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়েছে। পুলিশ এদের দু’জনকে আটক করেছে। খুঁজছে মোতালেব নামে আরেক অবৈধ মদ ব্যবসায়ীকে।