রেপিড ক্যাশ নামের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কথিত ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে লোকজনকে ফাঁদে ফেলত একটি চক্র। অবশেষে রাজধানী উত্তরা থেকে চক্রটির ২৬ জন সদস্যকে আটক করেন পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট। পুলিশ জানায় চক্রটি ফোন থেকে হাতিয়ে নেওয়া গোপন ছবি–তথ্য প্রকাশের হুমকি দিত।
অনলাইনে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করেন। এরপর না বুঝেই নানান অ্যাপস ইন্সটল করা হয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হ্যাকিং এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সকল ছবি- তথ্য হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।
এমনই সংঘবদ্ধ এক প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করেছে, পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট। এ চক্রের মূল হোতা মহিউদ্দিন মাহি। যিনি উচ্চতর শিক্ষা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান চর্চা করতে যান চীনে। সেখান থেকেই রেপিড ক্যাশ নামে অ্যাপস খুলে শুরু করেন প্রতারণা। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারত পাকিস্তানেও প্রতারণা চালায় চক্রটি। এমনটাই জানিয়েছেন সাইবার ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ সুপার।
যে কোনো অ্যাপস ইনস্টল না করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সহজে টাকা ইনকাম করার প্রবণতায় লোভনীয় ফাঁদে ফেলছে প্রতারক চক্র। এ পর্যন্ত প্রতারক চক্রটি ব্লেকমেইল করে এবং নানান কৌশলে নগদ থেকে ৮০ লাখ টাকা এবং বিকাশ থেকে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে।