মেঘনার ভাঙ্গনে প্রতিবছর উড়িরচরের আবাদি জমি ও বসত-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে
- আপডেট সময় : ০৫:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
মেঘনার ভাঙ্গনে প্রতিবছর নোয়াখালীর উড়িরচরের আবাদি জমি ও বসত-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ নির্মাণের দাবি করে আসছে এলাকাবাসী। এদিকে, কুমার নদের পানি কমতে শুরু করায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ফরিদপুর পৌর এলাকার গুহলক্ষীপুরে। দেবে গেছে চলাচলের একমাত্র পাকা সড়ক ও বসত-বাড়ি। এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও, এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও সন্দ্বীপ উপজেলার মাঝামাঝিতে উড়ির চর। মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন মেঘনা মোহনায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার আয়তনের চর। ৫০ বছর ধরে বসতি গড়ে ওঠা চরে হাটবাজার,স্কুল,মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা এখন ভাঙ্গনের হুমকিতে।
ইতিমধ্যে তিনটি ওয়ার্ডসহ অসংখ্য স্থাপনা উরির চরের মানচিত্র থেকে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিন থেকে চার বার করে বাড়ি হারিয়ে অসহায় মানুষগুলো এখন নিঃস্ব। ভাঙ্গন রোধে ব্লক ফেলার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে চরবাসী।
ভাঙ্গন রোধে উড়ির চর-সুবর্নচর নোয়াখালী চ্যানেলে একটি ক্রসড্যাম নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে, কুমার নদের পানি কমতে শুরু করায় ফরিদপুর পৌরসভার গুহলক্ষিপুর এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দেবে গেছে চলাচলের একমাত্র পাঁকা সড়ক ও বসত বাড়ি। এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
মাথা গোঁজার ঠাই না থাকায়, ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গনের মাঝেই বসবাস করছে অনেকে। অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন ও মাটি বিক্রি করায়, শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে জানান, পৌর মেয়র। এ বিষয়ে পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে, রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। কুমার নদের ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে ফরিদপুরবাসী।