মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোঁড়া বেশ কয়েকটি গোলা আবারও বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে পড়েছে। ৫টি যুদ্ধবিমান ও ২টি ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে এই গোলা ও বোমা ছোঁড়া হয়। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে আছেন সীমান্তের মানুষ।
অন্য দিনের তুলনায় ফায়ারিং বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি’র আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০ ও ৪১-এর মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২টি যুদ্ধবিমান এবং ২টি ফাইটিং হেলিকপ্টারকে কয়েকবার চক্কর দিতে দেখা যায়। এ সময় যুদ্ধবিমান থেকে ৮/১০টি গোলা ফায়ার করা হয়। হেলিকপ্টার থেকেও প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি ফায়ার করা হয়।
বাংলাদেশ সীমান্তের ১২০ মিটার ভেতরে যুদ্ধবিমান থেকে ফায়ার করা ২টি গোলা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে পড়ে। এ ঘটনার পর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।
এদিকে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে বিমান হামলা চালাচ্ছে বলে ‘দ্য ইরাবতী’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মংডু টাউনশিপের একটি পুলিশ আউটপোস্টে আরাকান আর্মি হামলা চালানোর পর পাল্টা জবাব দেয় জান্তা সরকার।
বুধবার ওই আউটপোস্ট দখল করে নেয় আরাকান আর্মির সদস্যরা। এসময় তারা ১৯ পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সরঞ্জামও নিয়ে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার দিয়ে তিন দফা বিমান হামলা চালায় সেনাবাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে ইরাবতী এ খবর প্রকাশ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে দুটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালানো হয়। পরে বিকেলের দিকে দুটি যুদ্ধবিমান ও দুটি হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালানো হয়। জান্তা সরকার জানায়, ওই আউটপোস্ট পুনর্দখলের জন্য সেনাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য সেখানে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো হচ্ছে।
গ্রামবাসী জানায়, বিমান হামলার সময় তাদের পায়ের নিচে মাটি কাঁপছিল এবং শব্দে কান বন্ধ হয়ে আসছিল। গত আগস্ট থেকে ওই এলাকা এবং প্রতিবেশী চিন প্রদেশের পালেটওয়া টাউনশিপে লড়াই চলছে। এসব এলাকায় আরাকান আর্মির হামলা বেড়েছে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।