মিতু হত্যা মামলা ভিন্নখাতে নিতে ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের আবেদন

- আপডেট সময় : ০৪:০৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৬৩ বার পড়া হয়েছে
রিমাণ্ডে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খরিজ হয়ে যাওয়ায়, স্বস্তি ফিরেছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে। তাদের দাবি, মামলাটি ভিন্ন খাতে নিতেই নতুন নতুন গল্প সামনে আনছেন কারাবন্দী বাবুল আক্তার। আর বাবুলের আইনজীবীরা বলছেন, মামলার অমিমাংসিত ইস্যুগুলো মিমাংসা করার চেষ্টা করছেন তারা। সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, তদন্তকালে উঠে আসা নানা প্রশ্নের উত্তর মিলবে বিচার প্রক্রিয়ায় এসে।
স্ত্রী হত্যার দায়ে ৫ বছর আগে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর, দেড় বছর ধরে কারাগারে আছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। এরই মধ্যে কারাগার থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানের ৬ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রিমাণ্ডে থাকাকালিন নির্যাতনের অভিযোগে মামলার আবেদন করেন তিনি। যদিও ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, আলোচিত মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের পাশাপাশি বিচার কাজকে বিভ্রান্ত করতেই বাবুলের এই চালাকি।
তবে বাবুলের আইনজীবীরা বলছেন, কিলিং মিশনের নেতৃত্ব দেয়া মুসাকে ৬ বছরে খুঁজে না পাওয়া, বাবুলের কথিত প্রেমিকা গায়ত্রি অমর সিংহের জিএফএক্স-২ অস্তিত্ব না থাকাসহ নানা অসংগতি রয়েছে তদন্তে। সেই অসংগতিগুলোর সুরাহা করার চেষ্টাই করছেন তারা।
সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, একাধিকবার তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হওয়া, একটি ঘটনায় একাধিক মামলাসহ পুলিশ ও বাবুলের ভুমিকা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে এরই মধ্যে। বিচার প্রক্রিয়ায় এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে দুবৃত্ত্বদের হামলায় নিহত হন, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। জিএফএক্স-৩ শুরুতে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর উঠলেও দীর্ঘ তদন্তে ঘটনার সঙ্গে বাবুলেরই সংশ্লিষ্টতা পায় পিবিআই।