মাত্র ১০দিনেই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে চিকন চালের দাম। কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে বৃহত্তম চালের বাজার চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও চাক্তাইয়ে। জাতীয় নির্বাচনের আগে চালের বাজারে অস্থিরতা মোকাবিলায় স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ চাল আমদানী করেছে সরকার। কর্মকর্তারা বলছেন, যে কোন উপায়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে চান তারা। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুদাম কেন্দ্রিক সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে কোন উদ্যোগ কাজে আসবে না।
দেশের সবচেয়ে বড় সরকারী খাদ্য গুদাম চট্টগ্রামের হালিশহর সিএসডি’র চিত্র এটি। প্রতিটি গুদাম চালে
ভর্তি। একই চিত্র দেশের সবকটি গুদামের। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে প্রায় ১৭ লাখ টন চাল, পৌনে দুই লাখ
টন গম ও ২০ হাজার টনের বেশি ধানের মজুদ রয়েছে ।
দেশের অন্যতম বৃহত্তম চালের বাজার পাহাড়তলী ও চাক্তাইয়ে গেল দুই মাস ধরে মোটা চালের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও এক সপ্তার ব্যাবধানে চিকন চাল কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে। এই ধারা অব্যহত
থাকলে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অস্থিরতা তৈরী হবে বাজারে।{ ফুটেজ-২}
আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা বলছেন, সরকারী খাদ্য গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে। বিভিন্ন কর্মসুচীর আলোকে পর্যায়ক্রমে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
চাল ব্যবসায়ী ও মিলাররা বলছেন, খাদ্য গুদামের চাল হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী ও চাল পরিবহনে
নিয়োজিত ঠিকাদারদের একটি অংশ নিয়ন্ত্রন করে। এই সিন্ডিকেট না ভাংতে পারলে নির্বচনে আগে কৃত্রিম
সংকট তৈরী করে বাজার অস্থির করতে পারে অসাধু মহল।
চট্টগ্রামের সিএসডি থেকে দেশের বিভিন্ন এলএসডির উদ্দেশ্যে বের হওয়া চাল ও গম পাহাড়তলী, সীতাকুন্ড,
নাজিরহাট, হাটহাজারীর বিভিন্ন গুদামে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। চলতি মাসেও এমন অন্তত
৩ টি চালান উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। {ফুটেজ-৩}