ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় সহিংসতা ও অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়াদের জীবিত উদ্ধারের কাজ ব্যাহত হবে বলে জানাচ্ছেন কর্মীরা। অজ্ঞাতনামা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংসতার কারণে জার্মান উদ্ধারকর্মী এবং অস্ট্রিয়ার সেনাসদস্যরা তাদের তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে।
খাবার পানি জ্বালানি ও বিদ্যুতের অভাবে চরম দুর্দশায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তরা। এক দিকে স্বজন হারানোদের শোক। আর এক দিকে বেঁচা থাকার জন্য নতুন করে লড়াই। এ যেন মরার ওপর খড়ার ঘা। এক ভয়ঙ্কর সময় পার করছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিধ্বস্ত এলাকার মানুষ।
দেশ দুটিতে এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা আটকে আছেন। তাদের উদ্ধারে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে দুর্ঘটনার একশ ঘণ্টা পার হওয়ায় এখন কারও বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে ।
ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যেও তুরস্কে থেমে নেই দুর্বৃত্তদের দাপট। ভূমিকম্পে ভেঙে গেছে অনেক মার্কেট ও দোকানপাট। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লুটপাট চালচ্ছে একদল সুযোগ সন্ধানী। এসব নৈরাজ্য ঠেকাতে তুর্কি সরকারও রয়েছে কঠোর অবস্থানে। এরইমধ্যে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৮ জনকে।
সীমান্তবর্তী দুই অঞ্চলে ঝুঁকি পূর্ন ভবন গুলো ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে একে একে। নতুন করে প্রাণহানি কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।