বৃষ্টি আর ভারতের ঢলে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
- আপডেট সময় : ০৭:৪০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
- / ১৭১২ বার পড়া হয়েছে
বৃষ্টি আর উজানের ঢলে দেশের কয়েক জেলায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। দুর্গত এলাকার লাখও মানুষের ভোগান্তি চরমে। কুড়িগ্রাম, ব্রহ্মপুত্রের পানিতে প্লাবিত চর ও নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি প্রায় দেড় লাখ মানুষ। বানের জলে ডুবেছে বাড়িঘর-রাস্তাঘাট; তাতে ভোগান্তিতে স্থানীয়রা। বন্যা কবলিত এলাকার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পানিতে তলিয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
কুড়িগ্রামে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে ৫ উপজেলার বানভাসী প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়ে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খবারের সংকট। চারণ ভুমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দুর্গতরা।স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চিলমারী পয়েন্টে বহ্মপুত্রের পানি বিদৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও হাতিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারার পানি কিছুটা কমলে এখনও প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার উপর দিয়েই। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানিতে তলিয়ে আছে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা। প্রশাসনের হিসাবে জেলায় ৬ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি। ২০৮ আশ্রয়কেন্দ্রে ৯ হাজার মানুষ আশ্রিত। রয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট।
জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দেড় লাখ মানুষ।প্রতিদিনই বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা, তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। বন্যার পানির কারণে ১শ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
গাইবান্ধার প্রায় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার চার উপজেলার ২৭ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৯ হাজার পরিবার। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানিসহ শুকনো খাবারের সংকট।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীর পানিও বাড়ছে। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।