০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্ব রেকর্ডে নাম লেখালেন বাংলাদেশের বিড আর্টিস্ট আনিসা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৬৪৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আনিসা মুরশেদ। ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন বাংলাদেশী পুঁতি শিল্পী (বিড আর্টিস্ট)। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি একটি শখ হিসাবে পুঁতি শিল্পকে গ্রহণ করেন এবং দীর্ঘ অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেই এ শিল্প আয়ত্ত করেন।

আনিসা পুঁতি শিল্পে তার দক্ষতার পরিচয় দিতেই এবছর ‘লংগেস্ট থ্রেড অফ বিডস মেড বাই এন ইন্ডিভিজুয়াল ইন ওয়ান আওয়ার’ শিরোনামে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেন। দিনটি ছিল তার জন্মদিন ১২ই আগস্ট ২০২২। রেকর্ড এটেম্পট এর প্রায় আড়াই আড়াই মাস পর ১ নভেম্বর ২০২২ এ আসে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে চূড়ান্ত ঘোষণা।

বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করতে বেশ ধৈর্য ও পরিশ্রমের পরিচয় দিতে হয়। কারণ এর জন্য রেকর্ডধারীকে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ প্রস্তুতি এবং প্রমাণের অসংখ্য ধাপ। অনেক সময় বছরের পর বছর কেটে যায় এই সাধনায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ একক খেতাব ধারী বর্তমানে তিনিই একমাত্র বাংলাদেশী নারী।

মার্কেটিং ও কনটেন্ট বিশেষজ্ঞ আনিসা তার শখের পেশা হিসেবে ‘হেই অ্যানিসে’ প্রোজেক্ট শুরু করেছিলেন ২০২১ সালে। ভিডিওর মাধ্যমে সৃজনশীলভাবে তিনি তুলে ধরার চেষ্টা করেন অনন্য পুঁতি শিল্পকে।

রেকর্ডটি ভাঙতে আনিসা এক ঘন্টায় ৪২.৩ মিটার লম্বা পুঁতির মালা তৈরি করেছিলেন, আর তাতে ছিল মোট ১৬৭১টি পুঁতি। একই শিরোনামের পূর্ববর্তী রেকর্ডটি ছিল ৩২.৭ মিটার যা থেকে আনিসা প্রায় ১০ মিটার অতিক্রম করে নিজেকে ‘অফিশিয়ালি অ্যামেজিং’ বলে দাবি করতে সফল হয়েছেন। উল্লেখ্য যে, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একক খেতাব পেয়েছেন ১৫ জনেরও কম ব্যক্তি।

নিজের অর্জনের ব্যাপারে আনিসা বলেন, ‘পুতি শিল্পের পিছনের সৃজনশীলতা, প্রচেষ্টা এবং সময়কে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয় কারণ এটি খুব জনপ্রিয় শিল্প নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে হস্তশিল্পের পণ্য যথাযথভাবে প্রশংসিত হয় না। পুঁতির কাজ শুধু একটি কারুকাজ নয়; এটি একটি চর্চা যা সৃজনশীলতা, একাগ্রতা এবং ধৈর্য বিকাশে সহায়তা করে। আমার উদ্যোগের মাধ্যমে, আমি বাংলাদেশী কারিগরদের পুঁতি শিল্প গ্রহণ করতে, এটি থেকে উপার্জন করতে এবং সর্বোপরি স্থানীয় পুঁতি শিল্প উদ্যোগকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে অনুপ্রাণিত করতে চাই।’

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিশ্ব রেকর্ডে নাম লেখালেন বাংলাদেশের বিড আর্টিস্ট আনিসা

আপডেট সময় : ০৪:২০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

আনিসা মুরশেদ। ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন বাংলাদেশী পুঁতি শিল্পী (বিড আর্টিস্ট)। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি একটি শখ হিসাবে পুঁতি শিল্পকে গ্রহণ করেন এবং দীর্ঘ অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেই এ শিল্প আয়ত্ত করেন।

আনিসা পুঁতি শিল্পে তার দক্ষতার পরিচয় দিতেই এবছর ‘লংগেস্ট থ্রেড অফ বিডস মেড বাই এন ইন্ডিভিজুয়াল ইন ওয়ান আওয়ার’ শিরোনামে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেন। দিনটি ছিল তার জন্মদিন ১২ই আগস্ট ২০২২। রেকর্ড এটেম্পট এর প্রায় আড়াই আড়াই মাস পর ১ নভেম্বর ২০২২ এ আসে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে চূড়ান্ত ঘোষণা।

বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করতে বেশ ধৈর্য ও পরিশ্রমের পরিচয় দিতে হয়। কারণ এর জন্য রেকর্ডধারীকে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ প্রস্তুতি এবং প্রমাণের অসংখ্য ধাপ। অনেক সময় বছরের পর বছর কেটে যায় এই সাধনায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ একক খেতাব ধারী বর্তমানে তিনিই একমাত্র বাংলাদেশী নারী।

মার্কেটিং ও কনটেন্ট বিশেষজ্ঞ আনিসা তার শখের পেশা হিসেবে ‘হেই অ্যানিসে’ প্রোজেক্ট শুরু করেছিলেন ২০২১ সালে। ভিডিওর মাধ্যমে সৃজনশীলভাবে তিনি তুলে ধরার চেষ্টা করেন অনন্য পুঁতি শিল্পকে।

রেকর্ডটি ভাঙতে আনিসা এক ঘন্টায় ৪২.৩ মিটার লম্বা পুঁতির মালা তৈরি করেছিলেন, আর তাতে ছিল মোট ১৬৭১টি পুঁতি। একই শিরোনামের পূর্ববর্তী রেকর্ডটি ছিল ৩২.৭ মিটার যা থেকে আনিসা প্রায় ১০ মিটার অতিক্রম করে নিজেকে ‘অফিশিয়ালি অ্যামেজিং’ বলে দাবি করতে সফল হয়েছেন। উল্লেখ্য যে, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একক খেতাব পেয়েছেন ১৫ জনেরও কম ব্যক্তি।

নিজের অর্জনের ব্যাপারে আনিসা বলেন, ‘পুতি শিল্পের পিছনের সৃজনশীলতা, প্রচেষ্টা এবং সময়কে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয় কারণ এটি খুব জনপ্রিয় শিল্প নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে হস্তশিল্পের পণ্য যথাযথভাবে প্রশংসিত হয় না। পুঁতির কাজ শুধু একটি কারুকাজ নয়; এটি একটি চর্চা যা সৃজনশীলতা, একাগ্রতা এবং ধৈর্য বিকাশে সহায়তা করে। আমার উদ্যোগের মাধ্যমে, আমি বাংলাদেশী কারিগরদের পুঁতি শিল্প গ্রহণ করতে, এটি থেকে উপার্জন করতে এবং সর্বোপরি স্থানীয় পুঁতি শিল্প উদ্যোগকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে অনুপ্রাণিত করতে চাই।’