বিদ্যুৎ গ্যাসে ভর্তুকি না দিলে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করতে পারবে না বিজিএমইএ
- আপডেট সময় : ০১:০৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৮২১ বার পড়া হয়েছে
গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিতে ভর্তুকি না দিলে, ৮০ ভাগ তৈরী পোশাক কারখানা মালিক নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করতে পারবে না। এমনটা জানিয়েছে বিজিএমইএ। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, ৫৪ শতাংশ বাড়তি বেতন দিতে হলে, দক্ষ কর্মী খুঁজবেন তারা। এক্ষেত্রে ব্যাপক শ্রমিক ছাটাইয়ের শঙ্কা রয়েছে। আর শ্রমিক নেতারা বলছেন, গেল ৫ বছরের সঙ্গে আগামী ৫ বছরের দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতির হার বিবেচনায় নিয়ে নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ না করলে, এই খাতের অস্থিরতা কমবে না।
তৈরী পোশাক খাতে ৫ বছর পর পর নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়। যা চলতি বছর ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই তৈরী হয় অস্থিরতা। ক’দিন ধরেই ঢাকায় বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নামে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ন্যূনতম বেতন ৮ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
বিজিএমইএ বলছে, বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করতে হলে, বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি দেয়ার পাশাপাশি বন্দর, কাস্টমস ও বন্ডের প্রতিবন্ধকতা নিরসন করতে হবে। অন্যত্থায় বিপর্যয় নামবে শ্রমঘনো এই শিল্পে।
পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রতিযোগী দেশে গার্মেন্টস খাতে বেতন বেশি হলেও কর্মচারীরা দক্ষ। বেতন বাড়াতে হলে সেই পথে হাটতে হবে। এতে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ছাটাইয়ের শঙ্কা রয়েছে।
তবে শ্রমিক নেতারা বলছেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরই রাস্তায় নেমেছে শ্রমিকরা। দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি বিবেচনায় বেতন ঠিক না করলে, অস্থিরতা কমবে না।
করোনাসহ যে কোনো সংকটে- প্রনোদনা, নামমাত্র সুদে ঋণসহ নানা নামে সরকারের সহায়তা পেয়েছে মালিকরা। কিন্তু শ্রমিকরা বরাবরই বঞ্চিতই থেকেছে