মায়ের কাছে বিড়াল ছানা কিনে দেয়ার বায়না ধরেছিলো শিশু আইনী। ঈদের আগে বেতন পেয়ে শিশুর স্বপ্ন পুরণের আশ্বাসও দেয় গার্মন্টসকর্মী মা। কিন্তু শিশুটির এই আবদারের কথা জানতে পেরে বিড়াল ছানা দেয়ার লোভ দেখিয়ে তাকে অপহরণ করে স্থানীয় সবজি বিক্রেতা রুবেল। পরে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দী করে ফেলে দেয় ডোবায়। ঘটনার ৯ দিন পর ওই শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পিবিআই। নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে।
গার্মেন্টসকর্মী মা আর দিনমজুর বাবার একমাত্র মেয়ে আবিদা সুলতানা আইনী। জিএফএক্স-১ ও ২ জীবিকার তাগিদে বাবা ঢাকায় থাকায় মায়ের সঙ্গে পাহাড়তলী এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো ৯ বছরের শিশু আইনী। ক’দিন আগে একটি বিড়াল ছানা কেনার শখ হয় তার। আবদার করে মায়ের কাছে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির আবদার পুরনের সামর্থ ছিল না দরিদ্র মায়ের।
আর এই সুযোগটিই নেয় স্থানীয় সবজি বিক্রেতা রুবেল। গেল ২১শে মার্চ বিড়াল ছানা দেয়ার লোভ দেখিয়ে পাশের একটি চারতলা ভবনের ওপরের নির্জন ঘরে নিয়ে যায় শিশুটিকে। সেখানেই ধর্ষণ শেষে নৃশংশভাবে হত্যা করে আইনীকে। পড়ে সুযোগ বুঝে মরদেহটি বস্তায় ভরে ফেলে দেয় ডোবাতে।
ঘটনার পর থেকে শিশুটির সন্ধানে পাহাড়তলী থানাসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও শিশুটির সন্ধান পায়নি ভুক্তোভোগী পরিবার। নিজেদের চেষ্টায় সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে অবশেষে মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্ত হয় পরিবারটি।
আদালতে মামলার পর মাঠে নামে পিবিআই। সন্ধ্যায় রুবেলকে আটকের পর তার দেয়া তথ্য মতে বুধবার সকালে নিখোজের ৯ দিনের মাথায় ডোবা থেকে শিশুটির বস্তাবন্দী গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পিবিআই।
আটক রুবেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের পাশাপাশি নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।