পুলিশী বাধার মুখে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। খুলনা ও নাটোরে সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ৭০ জন। চার বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে সারাদেশে সমাবেশের আয়োজন করে দলের নেতাকর্মীরা।
চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে খুলনা বিএনপি। নগরীর কে. ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকালে বিক্ষোভ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। লাঠচার্জে আহত হন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু,নগর বিএনপির সিনিয়র নেতা কর্মি ও সাংবাদিক সহ দলের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
নাটোরে সকাল ১০টায় নাটোর শহরের আলাইপুরে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষ হয়। পুলিশ, সাংবাদিক ও স্থানীয় বিএনপি নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবিসহ অন্তঃত ২০ জন আহত হন। এসময় চার বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
গাইবান্ধায় বাধা দেয় সমাবেশ পুলিশ। সমাবেশটি শহরের সিনেমা রোডস্থ বিএনপি অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। একই দাবিতে বরিশাল মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র মিছিলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
সকালে রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ে কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দাবি আদায় না হলে আগামীতে সরকার উৎখাতের কর্মসূচি দেয়া হবে।
ময়মনসিংহে দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। কুড়িগ্রাম জেলা শহরের জাহাজ কোম্পানী মোড়ে সকালে সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সমাবেশের আয়োজক বরগুনা জেলা বিএনপি। পুলিশ বাধার মধ্যেও বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে জামালপুরে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও- দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জ ও শেরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি।