সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে না আসা পর্যন্ত গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া নেয়া ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি। আর বিআরটিএ-র ম্যাজিস্ট্রেটের দাবি, অনিয়ম করলে কাউকেই ছাড় দিচ্ছেন না তারা। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকায় বর্ধিত ভাড়ার চেয়েও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। বাস ভাড়ায় নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজধানীতে অভিযান চালানোর সময় একথা বলেন তারা।
অতিরিক্ত বাস ভাড়ার নৈরাজ্য ঠেকাতে সড়কে নেমেছে বিআরটিএ ও পরিবহন মালিক সমিতি। শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটার থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউসহ মোট আটটি স্পটে বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বাস মালিক সমিতির নেতারা অভিযান চালায়।
এসময় যাত্রীরা নতুন তালিকার চেয়েও বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করলেও অস্বীকার করে এজন্য মালিকদেরকে দায়ী করেন চালকরা।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, অর্ধেক ভাড়ার কার্যকারিতা নেই কোনো বাসেই। দিতে হচ্ছে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়েও বেশি।
অনিয়ম পেলেই জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানান বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ সময় বাস মালিক সমিতির মহাসচিব জানান, শৃংখলা ফিরে না আসা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ডিজেলের মূল্য লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধির পর, সারাদেশে বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য ধর্মঘটে যায় মালিক-শ্রমিকরা। পরে, ডিজেলচালিত বাসের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে দেয় সরকার।