বারোমাসি আম চাষে সফল হয়েছেন যশোরের পিপড়াগাছি গ্রামের চাষী নূর ইসলাম। ৪ বছরের প্রচেষ্টায় ৬ বিঘা জমিতে ১৫ জাতের সুমিষ্ট আম ফলিয়েছেন তিনি। অসময়ে তার উৎপাদিত পাকা আমের ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় এ বছরই খরচ উঠিয়ে লাভের আশা করছেন।
জেলার শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া পিপড়াগাছি গ্রামের চাষী নূর ইসলাম। প্রথমে নার্সারি ও পরে কূল চাষ করে লোকসানে পড়েন তিনি। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে ফল গবেষণা কেন্দ্র পরামর্শে ৬ বিঘা বর্গা জমিতে বারো মাসের বারি-১১ জাতের আমের বাগান করেন।
তিন বছরের প্রচেষ্টায় এবার পাকা আম বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। প্রতিকেজি আম পাইকারি ৪শ’ ও খুচরা ৫’শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাকা আম বিক্রি করে খরচ উঠিয়ে লাভের প্রত্যাশা তার।
কলম তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন জাতের আম গাছের চারাও বিক্রি করছেন নূর ইসলাম। ক্ষেতের পরিচর্চা, কলম তৈরিসহ যাবতীয় কাজ ও রক্ষণাবেক্ষণ চলছে।
এদিকে অনলাইনের পাশাপাশি ক্ষেতে এসেই পাকা আমের স্বাদ পরীক্ষা করে তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। গরমের শুরুতেই পাকা আম পেয়ে খুশি ক্রেতারা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, নূর ইসলামের বারো মাসের বিভিন্ন জাতের আম চাষ সম্প্রসারণে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করা হয়েছে।