বাংলাবান্ধায় শ্রমিকরা ভুগছেন খাদ্য সংকটে
- আপডেট সময় : ০১:০২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
এক মাস আগেও দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর- বাংলাবান্ধায় কাজ করে সংসার চালাতো প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক। সেই স্থলবন্দর এখন ফাঁকা। তালা ঝুলছে প্রধান ফটকে। স্থলবন্দরের আশেপাশে প্রায় দেড়শ’ পাথর ক্র্যাশিং মেশিনে কাজ করতো অন্তত ১০ হাজার শ্রমিক। মেশিনগুলো এখন বন্ধ। তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদীতে পাথর তুলে জীবিকা চালাতো প্রায় ৩০ হাজার পাথর শ্রমিক। সেই মহানন্দা বইছে আগের মতোই, শুধু নেই শ্রমিকরা। দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমিকরা ভুগছেন খাদ্য সংকটে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলার লক্ষাধিক শ্রমিক সরকারি নির্দেশে প্রায় এক মাস ধরে ঘরে বসে অলস সময় পার করছেন। দিন আনা দিন খাওয়া এসব শ্রমিকের সংসার এখন মহাসংকটে। ক্ষুধার্ত সন্তানদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে প্রতিটি পরিবার। সারাবছর কাজ করে যার যেটুকু উদ্বৃত্ত অর্থ ছিল, তা এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্দর-কেন্দ্রিক প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক ছাড়াও মহানন্দা নদীতে পাথর তুলে সংসার চালানো ৩০ হাজার শ্রমিকও এখন বেকার। তারা পড়েছেন মারাত্মক খাদ্য সংকটে।
ইউপি চেয়ারম্যান জানালেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে।
শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তেঁতুলিয়া উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান।
শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।
জেলায় অতি দরিদ্র, দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষের কোনো পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ না থাকায় ত্রাণ বিতরণে প্রচুর অপচয়েরও অভিযোগ রয়েছে।