বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে মিয়ানমারের তাণ্ডব
- আপডেট সময় : ০১:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
বান্দরবানের বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের তাণ্ডব দিন দিন বাড়ছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আড়াল করা ছাড়াও নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটানোর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থাকতে পারে জান্তা শাসিত মিয়ানমারের। দেশটির পাতা ফাঁদে পা না দেয়া বুদ্ধিমানের লক্ষ্মণ। কিন্তু রাষ্ট্রদুতকে ডেকে ধমক দেয়াটাই যথেষ্ট নয়, বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোসহ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নেতাদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
কখনো থেমে থেমে আবার কখনো একনাগারে গুলির শব্দ। ছুটে আসছে মর্টারের গোলা, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সীমান্তে পেতে রাখা মাইনের বিস্ফোরণ ঘটেছে একাধিকবার। শুধু এতোটুকুতেই সীমাবদ্ধ নয়; ক্ষণে ক্ষণে আকাশসীমাও লঙ্ঘন করছে জান্তা শাসিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার।
মিয়ানমারের এমন তৎপরতাকে উস্কানী হিসেবে দেখছেন, দেশটিতে দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশ দুতাবাসের সাবেক এই কর্মকর্তা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের এই বাড়াবাড়ির কারণে, তাদের রাষ্ট্রদুতকে ডেকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এই বাস্তবতায় মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপ, প্রয়োজনে কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে সংকট সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে বাংলাদেশকে।
প্রফেসর আবু নোমান মনে করেন, সংকট সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার পাশাপাশি নতুন অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে সীমান্ত রক্ষী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে ফেরানোর দাবি যখন জোরদার হচ্ছে, থকন মিয়ানমারের আগ্রাসী আচরন নতুন সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন সাবেক কুটনীতিক এমদাদুল ইসলাম।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রায় চার দশক ধরে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক শীতল। ভারত, চীন ও রাশিয়ার মতো মোড়লদের পরোক্ষ মদদে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশ হয়েও সংকট জিইয়ে রেখেছে মিয়ানমার বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।