বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অপ্রাপ্যতা আগেও প্রভাব ফেলেছে আইপিএলের নিলামে। তবে এবার সাকিব, লিটনের ব্যাপারেও বিসিবির কড়াকড়িতে খানিকটা বিরক্তই হয়ে উঠেছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এমনকি এই নিয়ে কঠোর অবস্থানে যেতে পারে বিসিসিআই। যার আভাস মিললো এক ফ্র্যাঞ্চাইজি অফিসিয়ালের কথায়।
গতবছর আইপিএল থেকে ডাক পড়েছিল তাসকিন আহমেদের। তবে সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় জাতীয় দলের হয়ে সিরিজ খেলছিলেন তিনি। ফলে বাংলাদেশের খেলা বাদ দিয়ে আর আইপিএল খেলতে যাওয়া হয়নি তাসকিন আহমেদের।
এরপর গত এক বছরে তাসকিন আহমেদ নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন আরো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এই মুহূর্তে সেরাদের একজন হয়ে উঠছেন। অথচ এবার আইপিএলের নিলামে কোন দলই তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। ফলে এটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে তাসকিনের আইপিএলে দল না পাওয়ার কারণ যতটা না পারফর্মেন্স তারচেয়ে অনেক বেশি অপ্রাপ্যতা।
কেননা এবারও আইপিএলের পুরোটা সময় ফাঁকা নেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। যেমন সাকিব-লিটনরা আইপিএলে খেলতে যাবেন তবে সেটা শুরু থেকে নয়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচ খেলে তবেই মিলবে ছুটি। এরপর আবার মাঝপথে ফিরে আসতে হবে ইংল্যান্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলার জন্য।
এই বছর সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসকে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স আর মুস্তাফিজুর রহমান খেলবেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। অথচ তাঁদেরকে দলে পাওয়া নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আছে অনিশ্চয়তায়। সেজন্যই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য ভবিষ্যতে আইপিএল খেলাটা যে অনেক কঠিন হয়ে যাবে সেই আভাস দিয়ে রাখলেন এক ফ্র্যাঞ্চাইজি অফিসিয়াল।
ইনসাইড স্পোর্টকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা অভিযোগ করছি না, যেহেতু বোর্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বিসিসিআই। কিন্তু অবশ্যই কিছু দেশের খেলোয়াড়দের নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। আপনি দেখেন, তাসকিন এনওসি পায়নি এবং এবার তাঁরা (সাকিব, লিটন)। তাঁরা (বিসিবি) যদি না চায় তাঁদের খেলোয়াড় খেলুক, তাঁদের নিবন্ধন করা উচিত নয়। কিন্তু নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে ভবিষ্যতে ধারণা পাল্টে যাবে।’
সাকিব-লিটনদের নিয়ে বিসিবির এমন কড়াকড়িতে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো যে বিরক্ত তা স্পষ্টই হয়ে উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য আইপিএলে দল পাওয়া হয়ে উঠবে আরো কঠিন। দেশের ক্রিকেটের তারকাদের জন্য