বর্ষা মৌসুম ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন শেরপুরের মাছ ধরার চাঁই তৈরির কারিগররা। তারা জানান, আগের চেয়ে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় অল্প পুঁজিতে চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করতে পারছেন না চাঁই। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ায় দিন দিন কমে যাচ্ছে এই শিল্পের সাথে জড়িতদের সংখ্যা। তবে, সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা বিসিকের কর্মকর্তারা।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার দহেরপাড় গ্রাম। এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরেই বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি করা হয় মাছ ধরার বিশেষ ফাঁদ। এলাকাটি তাই চাঁই পল্লী হিসেবে পরিচিতি।
কেউ বাঁশ থেকে তৈরি কাঁঠি প্লাস্টিকের চিকন রশি দিয়ে বুনছেন, কেউবা আবার বাঁশ থেকে তৈরি করছেন কাঠি। ঐতিহ্যবাহী এ পেশায় যারা রয়েছেন তারা সবাই বংশপরম্পরায় চাঁই শিল্পী। সারা বছরই এসব এলাকায় তৈরি হয় নানা ধরণের চাঁই। আর বর্ষা আসলেই বেড়ে যায় কাজ। কিন্তু চাঁইয়ের চাহিদা থাকলেও পুঁজির অভাবে অনেকেই চাঁই তৈরির কাজ করতে পারছেন না। ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে এ শিল্পের সাথে জড়িতদের সংখ্যা।
কারিগররা জানান, পাঁচ ধরণের চাঁই তৈরিতে প্রকারভেদে খরচ হয় ৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। আর পাইকারি বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫’শ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু জিনিষপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই বাদ দিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী এই পেশা। তবে, তারা সরকারি সহযোগিতার দাবি জানান। চাঁই কারিগরদের জীবনমান উন্নয়নে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেন জেলা বিসিকের এই কর্মকর্তা। জেলায় মোট পাঁচ ধরণের চাঁই তৈরি হয়। এরমধ্যে তিনপারা, পাঁচপারা, সাতপারা, দুই পুইরে ও গোল চাঁই। জেলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ সরাসরি চাঁই শিল্পের সাথে জড়িত।