০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বন্য হাতি কখনো লোকালয়ে আবার কখনো সৈকতে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বনের হাতি কখনো লোকালয়ে। আবার কখনো সমুদ্র সৈকতে।এ ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের। উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় ১০ হাজার একর বনভূমি উজাড় করে ৩৪টি আশ্রয় ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা বাস করায় বন্ধ হয়ে গেছে হাতি চলাচলের ১২ করিডোর। ধ্বংস হয়েছে ২০টিরও বেশি প্রাকৃতিক জলাধার। ফলে খাদ্য সংকট ও বিচরণ ক্ষেত্র সংকীর্ণ হওয়ায় লোকালয়ে চলে আসতে শুরু করেছে হাতির পাল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন-হাতি রক্ষায় এখনি সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।

ছবির এই দৃশ্যটি একসময় ছিলো সবুজের অভয়ারণ্য। যেখানে প্রাণের উচ্ছ্বাসে বসবাস করতো হাতিসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণী। এখন সেই অভয়ারণ্যে প্রাণ-প্রকৃতির দেখা মিলেনা। যতোদুর চোখ যায়-কেবলই বসতবাড়ি। যেখানে বাস করছেন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ।

বনাঞ্চল উজাড় করে ক্যাম্প তৈরি করায় সেখানে আটকা পড়ছে বন্য হাতির পাল। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের চলাচল। হাতির আক্রমণ থেকে স্থানীয়দের রক্ষায় নানা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলেও হাতি রক্ষায় চোখে পড়েনা কোনো পদক্ষেপ। উখিয়া ও টেকনাফের বনাঞ্চলে দুই বছর ধরে তীব্র খাদ্য ও পানি সংকট দেখা দেয়ায় লোকালয়ে চলে আসা হাতিগুলো নিয়ে অনেকটা আতঙ্কে স্থানীয়রা।

স্থানীয় বনবিভাগ বলছে, জেলেদের সহযোগীতায় মাছ ধরার ট্রলারে রশি বেঁধে হাতি দুটি সাগর থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে সৈকত তীরে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। সন্ধ্যায় হাতি দুটি একসঙ্গে মেরিন ড্রাইভ এলাকা দিয়ে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, সাগরপাড়ে হঠাৎ বন্যহাতির আসার খবরে ভিড় করে স্থানীয় উৎসুক জনতা। উদ্ধার অভিযানে উৎসুক মানুষদের নিয়ন্ত্রন করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বনবিভাগের সাধারণ ডায়েরীর প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগকে সহযোগিতা করতে কাজ শুরু করে পুলিশ।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, নিজেদের চলাফেরার সব আবাসস্থল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দখলে চলে যাওয়ায় হাতিগুলো পাহাড়ে চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নিয়মিত। আর এ ক্ষোভ থেকেই হয়তো হাতিদের সমুদ্র দর্শন।

বন বিভাগের তথ্যমতে, ২০১০ সালের ২৪ মার্চ হাতি সংরক্ষণের জন্য ২৮ হাজার ৬৮৮ একর বনভূমি নিয়ে ‘টেকনাফ গেইম রিজার্ভ’ গঠন করা হয়।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বন্য হাতি কখনো লোকালয়ে আবার কখনো সৈকতে

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

বনের হাতি কখনো লোকালয়ে। আবার কখনো সমুদ্র সৈকতে।এ ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের। উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় ১০ হাজার একর বনভূমি উজাড় করে ৩৪টি আশ্রয় ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা বাস করায় বন্ধ হয়ে গেছে হাতি চলাচলের ১২ করিডোর। ধ্বংস হয়েছে ২০টিরও বেশি প্রাকৃতিক জলাধার। ফলে খাদ্য সংকট ও বিচরণ ক্ষেত্র সংকীর্ণ হওয়ায় লোকালয়ে চলে আসতে শুরু করেছে হাতির পাল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন-হাতি রক্ষায় এখনি সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।

ছবির এই দৃশ্যটি একসময় ছিলো সবুজের অভয়ারণ্য। যেখানে প্রাণের উচ্ছ্বাসে বসবাস করতো হাতিসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণী। এখন সেই অভয়ারণ্যে প্রাণ-প্রকৃতির দেখা মিলেনা। যতোদুর চোখ যায়-কেবলই বসতবাড়ি। যেখানে বাস করছেন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ।

বনাঞ্চল উজাড় করে ক্যাম্প তৈরি করায় সেখানে আটকা পড়ছে বন্য হাতির পাল। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের চলাচল। হাতির আক্রমণ থেকে স্থানীয়দের রক্ষায় নানা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলেও হাতি রক্ষায় চোখে পড়েনা কোনো পদক্ষেপ। উখিয়া ও টেকনাফের বনাঞ্চলে দুই বছর ধরে তীব্র খাদ্য ও পানি সংকট দেখা দেয়ায় লোকালয়ে চলে আসা হাতিগুলো নিয়ে অনেকটা আতঙ্কে স্থানীয়রা।

স্থানীয় বনবিভাগ বলছে, জেলেদের সহযোগীতায় মাছ ধরার ট্রলারে রশি বেঁধে হাতি দুটি সাগর থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে সৈকত তীরে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। সন্ধ্যায় হাতি দুটি একসঙ্গে মেরিন ড্রাইভ এলাকা দিয়ে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, সাগরপাড়ে হঠাৎ বন্যহাতির আসার খবরে ভিড় করে স্থানীয় উৎসুক জনতা। উদ্ধার অভিযানে উৎসুক মানুষদের নিয়ন্ত্রন করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বনবিভাগের সাধারণ ডায়েরীর প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগকে সহযোগিতা করতে কাজ শুরু করে পুলিশ।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, নিজেদের চলাফেরার সব আবাসস্থল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দখলে চলে যাওয়ায় হাতিগুলো পাহাড়ে চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নিয়মিত। আর এ ক্ষোভ থেকেই হয়তো হাতিদের সমুদ্র দর্শন।

বন বিভাগের তথ্যমতে, ২০১০ সালের ২৪ মার্চ হাতি সংরক্ষণের জন্য ২৮ হাজার ৬৮৮ একর বনভূমি নিয়ে ‘টেকনাফ গেইম রিজার্ভ’ গঠন করা হয়।