উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্যার পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও সার্বিক পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত। বসতভিটা থেকে পানি না নামা ও রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় দুর্ভোগ কমেনি বানভাসী মানুষের।
বন্যা কবলিত অনেক এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বানের পানি প্রবেশ করায় উপজেলার ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ। ৫দিন ধরে পানিতে তলিয়ে থাকায় আউশ ধান, পাট, বাদামসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি ও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্ট ২৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই ব্যাপকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকার রাস্তাঘাট ও হাটবাজার তলিয়ে যাচ্ছে। উঠতি রবি ফসল তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক নদীভাঙ্গনে নিস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার।
এদিকে, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নঞ্চল। পানি কিছুটা কমলেও সকাল থেকে সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, বৌলাই, রক্তি নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।