বহুমাত্রিক উন্নয়নে বদলে গেছে উত্তরের জনপদ ঠাকুরগাঁও
- আপডেট সময় : ০২:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
- / ১৭১৯ বার পড়া হয়েছে
নিরবিচ্ছিন্ন বহুমাত্রিক উন্নয়নে আমূল বদলে গেছে উত্তরের জনপদ ঠাকুরগাঁও। স্থানীয়রা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বে শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ অবকাঠামোসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে জেলাটি অর্জন করেছে ঈর্ষনীয় সাফল্য। পাশাপাশি জঙ্গিবাদী কার্যক্রমকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা এবং জঙ্গী সংশ্লিষ্টদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে সাফল্য দেখিয়েছে ঠাকুরগাঁও।
ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়া এক জেলা, ঠাকুরগাঁও । গেল দেড় দশকে কৃষিসহ আর্থ সামাজিক প্রতিটি খাতে উন্নয়নের কারণে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা যেমন বেড়েছে। তেমনি বেড়েছে চাহিদা। তৈরী হয়েছে রুচির ভিন্নতা। শহুরে সুবিধাও পৌছে গেছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে।
সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে ঠাকুরগাঁয়ে যোগাযোগ অবকাঠামোতে এসেছে যুগান্তকারি পরিবর্তন। এলজিইডির আওতায় ২০০৮ সাল পর্যন্ত পল্লী সড়ক নির্মিত হয় ৪শ’ ৪৫ কিমি। অন্যদিকে ২০০৯-২২ সাল পর্যন্ত হয়েছে ১ হাজার ১৫৫ কিমি দৈর্ঘ্যের ৪৮০টি পাকা সড়ক।
এক সময় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ ছিল জীবন, চারদিকে ছিল বিদ্যুৎ এর জন্য হা হা কার। ১৫ বছর আগের সেই পরিস্থিতি বদলে গেছে। শতভাগ বিদ্যুৎ এ আলোকিত প্রতিটি ঘর। শুধু তাই নয় জাতীয় গ্রীডেও যোগ হচ্ছে ঠাকুরগাঁও উৎপাদিত ১০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
তবে শুধু ঘরে ঘরে অন্ধকার নয়, এক সময় এখানকার সমাজ ব্যবস্থায়ও ছিল ঘোর অন্ধকার। জঙ্গীবাদের থাবায় কেঁপেছিল প্রত্যন্ত জনপদ। এখন বদলেছে সেই দিন। নেই সেই উগ্রতা ও ধার্মান্ধতা।
জেলা প্রত্যন্ত গ্রামে চোখে পড়ে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সেবা। বিপদে সুচিকিৎসা পেয়ে খুশী সবাই।
গেল দেড় দশকে বদলে যাওয়া ঠাকুরগাঁয়ের সিংহভাগ মানুষের মুখেই আজ হাসি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় এই হাসি অটুট থাকবে এমনটাই সবার প্রত্যাশা।