ফলের বাজারে দেশির জায়গায় আধিপত্য বাড়ছে বিদেশি ফলের। চাহিদা থাকলেও বিদেশি ফলের তুলনায় দাম বাড়েনি দেশি ফলের। বাড়তি উৎপাদন খরচের বিপরীতে দাম অর্ধেকেরও রকম। এতে করে হতাশ চাষীরা। আর ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়েকদফা হাত বদলের কারনেই দাম বাড়ে ফলের।
নওগাঁ জেলায় চাষ বেড়েছে কয়েক প্রজাতির পেয়ারা, মালটা ও ড্রাগন ফলের। চাষীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দেশে উৎপাদিত মালটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি আর প্রতি কেজি ড্রাগন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। ফলে উৎপাদন খরচের বিপরীতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না।
এদিকে বজারগুলোর বড় অংশ জুড়ে রয়েছে আপেল, আঙ্গুর, বেদেনাসহ বিদেশী সব ফল। বিক্রেতারা বলছেন, পরিবহন ভাড়া আর হাত বদলে বেড়ে যায় খুচরা বাজারের দর।
বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কোন উদ্যোগই নেই প্রশাসনের। যদিও বিপনন বিভাগের দাবী নিয়মিত বাজার তদারকি করছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বলছে, নওগাঁ জেলায় প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফল বাগান গড়ে উঠেছে।