প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থেকে বিচক্ষণতার সাথে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন
- আপডেট সময় : ০৭:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৭১৮ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের এই দিনে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা। এক নাগাড়ে চার দশক ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আর টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা বিচক্ষণতার সাথে দল ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধির পথে। নানা ষড়যন্ত্র আর ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আওয়ামী লীগকে যেমন শক্তিশালী করেছে, অন্যদিকে তাঁর প্রচেষ্টায় বিশ্ব পরিমন্ডলে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। নিভৃত পল্লীতে জন্ম নিলেও নিজ কর্মে বিশ্ব নেতৃত্বের সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
শৈশবের শুরুটা টুঙ্গিপাড়াতে কাটলেও ‘৫৪’র নির্বাচনের পর পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন ঢাকায়। বিভিন্ন স্কুল কলেজের পাঠ শেষে, শেখ হাসিনা ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পারিবারিক ঐতিহ্যের সুত্র ধরে একই সময়ে সক্রিয় হন ছাত্র রাজনীতিতে।
১৯৬৮ সালে বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় শেখ হাসিনার। এরপর ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
পচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময়, বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান দু’বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে চরম দুঃসময়ে দায়িত্ব নেন আওয়ামী লীগের। সেই থেকে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন দলটির সভাপতি হিসেবে।
দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম শেষে দলকে ক্ষমতায় নিয়ে যান ১৯৯৬ সালে। তিনি নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনেও দলকে বিজয়ী করে চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা।
রাজনীতিতে আসার পর অনেকবারই শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে সব বাঁধা বিপত্তি মোকবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দেশের গন্ডি পেরিয়ে তিনি এখন হয়ে উঠেছেন বিশ্ব নন্দিত নেতা।
প্রধানমন্ত্রী হলেও ভুলে যাননি নিজ জন্মস্থানের কথা। গোপালগঞ্জ আসলে, ভ্যানে করে ঘুরে বেড়িয়েছেন নিজ এলাকা টুঙ্গিপাড়ার অলিগলি। নিয়মিত খোঁজ খবর নেন সাধারন মানুষের।
শেখ হাসিনা না থাকলে, আজকের বাংলাদেশ হতো না বলে মনে করেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক।
দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন গোপালগঞ্জবাসী।