প্রণোদনার টাকার বন্টন নিয়ে পোষাক শিল্প অস্থির হওয়ার আশঙ্কা
- আপডেট সময় : ০১:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
প্রণোদনার পাঁচ হাজার কোটি টাকার বন্টন নিয়ে, পোষাক শিল্প খাত অস্থির হয়ে উঠতে পারে। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পোষাক শিল্প মালিকরা। আর বেপজা বলছে, ইপিজেডের পোষাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। প্রণোদোনার নামে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার জন্য শুধুমাত্র সি ক্যাটাগরির গার্মেন্টসগুলোকে বেছে নিয়েছে সরকার। এতে ‘এ ও ‘বি ক্যাটাগরির গার্মেন্ট শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হাতাশা। যা এই শিল্পের ভবিষ্যতসহ দেশের ভাবমুর্তির জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
দেশের ইপিজেডের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তিন ক্যাটাগরীতে বিভক্ত। এরমধ্যে বিদেশী মালিকানার প্রতিষ্ঠান এ, যৌথ বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠান বি আর দেশীয় প্রতিষ্ঠান সি ক্যাটাগরীতে রয়েছে। দেশের ৮ টি ইপিজেডে রপ্তানীমুখি এমন শিল্প প্রতিষ্ঠান ৪৭৫টি । যার ১২৫টি সি, বাকি সাড়ে তিনশো এ এবং বি ক্যাটাগরিভুক্ত। আর ৫ লাখ শ্রমিকের মধ্যে ৪ লাখই এ এবং বি ক্যাটাগরির গার্মেন্টে কর্মরত।
করোনার কারণে প্রায় সব রপ্তানীমুখী প্রতিষ্ঠানই বন্ধ। তাই বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এখন বেকার। তাদের সুরক্ষায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদোনা ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু তাতে বাদ দেয়া হয়েছে এ ও বি ক্যাটাগরির গার্মেন্টস কারখানা।এতে শ্রমিক অসোন্তষের আশংকা করছে বেপজা।
গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, রপ্তানীমুখী পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দেশি বা বিদেশীতে ভাগ করা গেলেও শ্রমিকরা শতভাগই দেশি। আর সরকারের দেয়া সহজ শর্তে ঋণের এই টাকা শ্রমিকদের বেতন ভাতায় ব্যয় করার শর্ত থাকলেও, বঞ্চিত হচ্ছে এ ও বি ক্যাটাগরি গার্মেন্ট শ্রমিকরা।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, করোনার কারণে পুরো তৈরী পোষাক শিল্পটিই আজ হুমকির মুখে। তাই ক্যাটাগরি ভাগ না করে, শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ নিতে হবে সবার আগে।
বাংলাদেশের ইপিজেডগুলোতে ৩৮টি দেশের বিনিয়োগ রয়েছে। কোন অদুরদর্শিতার কারণে, এসব বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে নেতিবাজক প্রভাব পড়বে দেশের ভাবমুর্তিতে।