মাদক বিরোধী অভিযানে পুলিশ হেফাজতে আসামী মৃত্যুর ঘটনায় রংপুরের হারাগাছে স্থানীয়দের বিক্ষোভ হয়েছে। ৫ ঘন্টার সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ৪০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অ্যাকশনে যায়।হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই আসামী মারা গেছে বলে পুলিশ বলছে।
স্থানীয় দরদী স্কুল এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে নামে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানা পুলিশ।
যে আসামীর তথ্যমতে এই অভিযান। আসামী তাজুল ইসলাম সেসময় পুলিশ হেফাজতে মারা যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মাথায় আঘাত করায় তাজুল ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সোমবার সন্ধ্যার এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাও করে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোঁড়ে। সাংবাদিকসহ আহত ৪০ জন। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে ৫ ঘণ্টাব্যাপী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বজনরা তাজুলের মরদেহ নিয়ে যেতে চাইলে নির্বিচারে চলে লাঠিচার্জ এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ। আহত হয় বহু মানুষ।
মাদকসেবী ও বহু মামলার আসামী তাজুল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে পুলিশের বরাতে জানানো হয়েছে। ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত দাবি পৌর মেয়রের।
উত্তেজিত জনতা হারাগাছ থানা ঘেরাও করে পুলিশের দুটি গাড়িসহ ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা।