পুলিশের ভাবমূর্তি উদ্ধারে এবার কক্সবাজার পুলিশের ১ হাজার ৩৪৭ জন সদস্যকে একযোগে বদলি
- আপডেট সময় : ০৭:৩৪:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫১৫ বার পড়া হয়েছে
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা আর ওসি প্রদীপকাণ্ডের পর, পুলিশের ভাবমূর্তি উদ্ধারে এবার কক্সবাজার পুলিশের ১ হাজার ৩৪৭ জন সদস্যকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার ৮ জন, পরিদর্শক ৫৩ জন, উপ-পরিদর্শক ১৩৯ জন, এএসআই ৯২ জন এবং ১ হাজার ৫৫ জন নায়েক ও কনস্টেবল। তবে এই রেকর্ড বদলিকে সর্বাধিক ক্রসফায়ারের জেলা- কক্সবাজারের সুনাম, সুশাসন ও জবাবহিদিতা ফিরিয়ে আনতে ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছে সুশীল সমাজ।
কক্সবাজারের এসপি থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত ৮টি থানায় কর্মরত পুলিশ বাহিনীর ১ হাজার ৩৪৭ জন সদস্যকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে এ এক বিরল ঘটনা। শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মাহবুবুল করিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে, এদের আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বদলিকৃত বিভিন্ন রেঞ্জে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
আগের দিন কক্সবাজার পুলিশের ৩৪ ইন্সপেক্টরকে একযোগে বদলি করা হয়। এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়। একই সঙ্গে ঝিনাইদের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের দায়িত্ব দেয়া হয়। ক্রসফায়ারের জন্য কুখ্যাতি পাওয়া এ জেলায় পুলিশের এমন বদলীকে ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন স্থানীয় সুশীল সমাজ।
কক্সবাজারের ৮ থানার পুলিশ বছরে শতাধিক ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিচার বহির্ভুত এসব হত্যাকাণ্ডে অনেক নির্দোষ স্বজন হারিয়ে সংশ্লিষ্ট পারিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে গেছে। ক্রসফায়ার বন্ধ না হলে পুলিশের এমন বদলি জেলায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কোনো ভূমিকা রাখবে না বলে জানান সুজন সম্পাদক।
এদিকে জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মনে করেন মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশেই পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বেড়েছে সেনা-পুলিশ দূরত্ব। এ গণবদলি ইতিবাচক উদ্দেশ্যে হলে পুলিশ বাহিনীতে স্বচ্ছতা ফিরতে পারে।গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মারা যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় হলে মামলার পর ওসি প্রদীপ দাশ এবং ইন্সপেক্টর লিয়াকতসহ ১১ পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আপস…..