নোয়াখালীর হাজার একর খাস জমি আত্মীয়দের বরাদ্দ দিয়েছেন কাদের
- আপডেট সময় : ১০:৫১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১৭৯৩ বার পড়া হয়েছে
কবিরহাট ও কোম্পানিগঞ্জের কয়েক হাজার একর খাস জমি দখল করে রাহাতনগর, মির্জানগর, শাহদাত নগর নামে খামার গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন। ওবায়দুল কাদেরের ভাই মির্জা কাদের সাড়ে ৮শ একর, ছোট ভাই শাহাদত হোসেন-৭শ একর ভাগিনা রাহাত সাড়ে ৪শ একর আরেক ভাগিনা ইস্কান্দার মির্জা শামিম ৩শ একরের ওপর এ সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।
নোয়াখালীর কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এসব স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় প্রমানিত। নোয়াখালীর বিভিন্ন খাল, নদীর জায়গা, চর, সরকারী খাসজমি নিজ পরিবারসহ আত্বীয় স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের নামে বরাদ্দ দেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তাদেরই একজন কবিরহাট ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল কোম্পানী। যার নামেই আছে সাড়ে ১৭শ একর জমি। অপ্রতিরোধ্য এই চেয়ারম্যান পুরো এলাকায় ধরাকে সরাজ্ঞান করে দখলের রাজত্ব কায়েম করেছেন। নদীর জায়গা চট্টগ্রামের এক কোম্পানীকে ৩শ কোটি টাকায় লিজও দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগের ব্যাপারে কামালের সাথে যোগাযোগ করলে ক্যামেরায় কথা বলবেন বলে দুইদিন ঘুরিয়ে ফোন রিসিভ করেনি। তবে মুঠো ফোনে তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন কামাল খান।
এছাড়া চর এলাহীর ইউপি চেয়ারম্যান রাজ্জাক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও উরির চর, চর এলাহীতে কয়েকহাজার একর জমি দখলের অভিযোগ। দখলের তালিকায় আছে কবির হাট উপজেলার ধানশালিক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিনও।
এবার আসা যাক গত ১৬ বছর ক্ষমতার অপব্যবহার করে নোয়াখালীতে দখল-দু:শাসনের রাজত্ব কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবার । নোয়াখালীর কবির হাট ও কোম্পানীগঞ্জের নোয়াখালী খালের জায়গা দখল করে বিভিন্ন প্রজেক্ট বানিয়েছেন তারা।
ওবায়দুল কাদেরের ভাই মির্জা কাদেরের সাড়ে ৮শ একর
ভাই শাহাদত হোসেনের-৭শ একর
ভাগিনা রাহাতের নামে সাড়ে ৪ একর
বাগিনা ইস্কান্দার মির্জা শামিমের নামে ৩শ একর জমি রয়েছে।
যা মির্জা নগর, রাহাত নগর, শামীম নগর,শাহাদাত নগর নামে পরিচিত।
নোয়াখালীর খালের নকশা অনুয়ায়ী খাল খনন এখন সময়ে দাবি বলে জানান এই জলবায়ু বিশেষজ্ঞ।
জেলা প্রসাশক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, বিভিন্ন সময় খালের জায়গা দখলমুক্ত করলেও প্রভাবশালীরা আবারও তা দখলে নেয়।
পুরো নোয়াখালীকে জলবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষায় বর্তমান সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান পুরো নোয়াখালীবাসির।