নেত্রকোনায় রেজিষ্ট্রী ও সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসগুলোতে অবাধে জাল দলিল তৈরী করছে দলিল লেখকদের এক প্রতারক চক্র। এতে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে মানুষ। ঘটছে মারামারি-কাটাকাটির ঘটনা। আইনি লড়াইয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে অনেকে। এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ। দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা।
কয়েকদিন আগে জেলার পূর্বে মদনের জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে ভুয়া নাম ব্যবহার করে তৈরী করা হয় জাল দলিল। উপজেলার মহড়া গ্রামেও একই ঘটনা
ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে জাল দলিল তৈরী চক্রের সাথে জড়িত আব্দুল গণি, মাসুম ইয়ার খান ও হাফিজুর রহমানের লাইসেন্স বাতিলের অভিযোগ দায়ের করে দলিল লেখক সমিতি। একই সংগে তাদের সমিতি থেকে বহিস্কার করা হয়।
বিষয়টি স্বীকার করলেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি অভিযুক্তরা।
শুধু মদনেই নয়, জেলার বিভিন্ন রেজিষ্ট্রী অফিসেও এমন ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। ভোটার আইডি কার্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে অন্যের ছবি। এতে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জাল দলিল তৈরীকারীদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবী জানান ভূক্তোভোগিরা।
দোষীদের সাময়িক বহিষ্কারের কথা জানালেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি জেলা রেজিষ্টার ও উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার।
দ্রুত ওই প্রতারক চক্রের লাইসেন্স বাতিল করে বিচারের দাবী জানান জেলাবাসী।