নীলফামারীতে রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের টাকা পাঁচ মাস আগে জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হলেও, বুঝে পায়নি বেশিরভাগ জমির মালিক। রোয়েদাদ সংশোধনের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলেই টাকা হস্তান্তরের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।জটিলতা দেখে কাজ গুটিয়ে চলে গেছে এক ঠিকাদার। আর, জমি-মালিকদের বাধা পেয়ে জুন থেকে কাজ বন্ধ রেখেছে আরেক ঠিকাদার।
২০১৮ সালের ২ আগস্ট জেলা শহরের চৌরঙ্গী থেকে সৈয়দপুর উপজেলার ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত, নীলফামারী-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সাড়ে ১৫ কিলোমিটার প্রশস্তের কাজ পায় দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একই বছরের জানুয়ারিতে সড়কের জন্য প্রায় ৫৫ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা পায় জেলা প্রশাসন। কার্যাদেশ অনুযায়ী এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২২৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে প্রকল্প ব্যয় ৪৪৩ কোটি টাকা অনুমোদন দেয় একনেক। এর মধ্যে জমি ও স্থাপনা অধিগ্রহণ বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩১৩ কোটি টাকা। অথচ, দুই বছর পার হলেও অধিগ্রহনের টাকা পায়নি বেশিরভাগ জমি মালিক। টাকার দাবিতে কয়েক দফা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় ফেব্রুয়ারিতে কাজ গুটিয়ে চলে গেছে এক ঠিকাদার। জমি মালিকদের বাধার মুখে জুন থেকে কাজ বন্ধ রেখেছে অন্য ঠিকাদার।
এপ্রিল পর্যন্ত ২৫৮ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায়, সড়ক বিভাগ।
রোয়েদাদে ভুল থাকায় টাকা দেয়া হয়নি বলে জানান, জেলা প্রশাসক।
দ্রুত সড়কের কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।