নিত্যপণ্য নিয়ে অতি মুনাফার লোভে কারসাজি শুরু
- আপডেট সময় : ০৭:৫০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
করোনা পরিস্থিতিতে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও প্রতিবছরের মতো এবারও রমজান ঘিরে নিত্যপণ্য নিয়ে কতিপয় ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লোভে কারসাজি শুরু করেছে। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে দুই মাস ধরে ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে পণ্যের দাম। চাল থেকে শুরু করে ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা-রসুন, চিনি এমনকি রমজানে অতি ব্যবহৃত ছোলা ও খেজুরের দাম বেড়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এসব পণ্য কিনতে এসে সাধারণ মানুষ দিশেহারা।
করোনা পরিস্থিতি ও রমজানে নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তা সহনীয় রাখতে সংশ্লিষ্টদের বারবার নজর রাখতে বলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই বাজার তদারকিতে নামে একাধিক সংস্থা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলও বাজারে কাজ করছে। একারণে অতীতের মতো এবার রমজানে কোন নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে বাড়েনি।
করোনা পরিস্থিতিতে গেল এক মাস ধরে বাজারে সব নিত্যপণ্যের চাহিদা বাড়ায়, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পরিবহন সংকট ও সরবরাহের ঘাটতির কথা বলে, কিছু নিত্যপণ্যের দাম কৌশলে ধাপে ধাপে বাড়িয়েছে।
টিসিবি’র তথ্যমতে, এক সপ্তাহে প্রতি কেজি মাঝারি আকারের মশুর ডালের দাম বেড়েছে ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সাত দিনে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি আদার দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। রসুনের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ। আর মাসের ব্যবধানে কেজিতে ছোলার দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। প্রতিকেজি চিনিতে দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। এছাড়া কেজিতে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে খেজুরের দাম। আর ১০ শতাংশ বেড়েছে চালের দাম।
লকডাউনে বাজারে পণ্যের সংকট তৈরির আশংকায় ক্রেতারা বেশি পণ্য ক্রয় করলেও, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় কোনো পণ্যের সংকট নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এদিকে, সাধারণ মানুষকে ন্যায্য মূল্যে নিত্যপণ্যের যোগান দিতে রাজধানীসহ সারা দেশে টিসিবির ভূর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি অব্যহত রেখেছে।