নিত্যপণ্যের দামের হাহাকার নিয়েই রমজানের প্রস্তুতি
- আপডেট সময় : ০৩:০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
- / ১৬৮৪ বার পড়া হয়েছে
বছরজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে হাহাকারে ভোগান্তি পোহাতে হয় নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের। অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছেনা রমজান মাসেও। সরকার প্রধান, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার হুঁশিয়ারিও টানতে পারছে না নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির লাগাম। ফলে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। অস্থির বাজারে দাম বৃদ্ধির তালিকায় সবচে এগিয়ে মুরগী। বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে করলা, ঢেড়স, পটল। মান ভেদে লেবুর হালি এখন ১’শ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
গেলো বছরে শেষে বাড়তি দরে অস্থিতিশীল ছিলো ডিম ও পোল্ট্রির বাজার। সেময় সরকারি সংস্থার তদারকি আর অভিযানে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও আবারো নৈরাজ্য চলছে ডিম ও মুরগীর মাংসের বাজারে।
রোজার আগেই প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬৫ টাকায়। লেয়ারের জন্য গুণতে হচ্ছে ৩০০ টাকা আর সোনালী মুরগীর জন্য ৩৪০ টাকা। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
স্বস্তি নেই গরু ও খাসির মাংসের বাজারে। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা আর খাসির মাংসের জন্য গুনতে হবে ১১০০ টাকা।
সরবরাহ সংকট না থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। পটল ও ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। বেগুণের জন্য দর হাঁকা হচ্ছে ৭০ টাকা। ১ হালি লেবু ১০০ টাকার ও বেশি।
রমজান ঘিরে ছোলা চাল ডাল চিনি সহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্রেতাদের।
রমজান মাসে ভোজ্য তেলের চাহিদা থাকে ৪ লাখ টন। চিনি ৩ লাখ টন এবং ছোলার প্রযোজন ১ লাখ মেট্রিকটন।