মাত্র সাত হাজার টাকার ব্যাটারি সাশ্রয়ের জন্য সরকারি গাড়িতে অন্তত দুই লাখ টাকার জ্বালানি খরচ করেন রুয়েটের ভিসি। সকাল-বিকাল চড়েন আলাদা গাড়িতে। আর অফিসিয়ালি বরাদ্দ না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ির সুবিধা নিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক। মিলেমিশে করা এই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার যেন কেউ নেই।
২০১৪ সালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-রুয়েটের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সচল গাড়িকে অচল দেখিয়ে ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি কেনেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বেগ। তবে তিনি নতুন-পুরাতন দুটি গাড়িটিতে চড়তেন পালা করে। তার মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালে নতুন উপাচার্য হয়ে একই ভাবে দুটি গাড়িই দখলে রেখেছিলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শেখ। বেগ ও শেখ আমলের পর উপাচার্যের চলতি দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন। সকাল-বিকেল গাড়ি পাল্টান তিনিও ।
রুয়েটের যানবাহন শাখা জানিয়েছে, ব্যাটারি সচল রাখতে দুটো গাড়িই উপাচার্যের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গাড়ি হাঁকিয়ে চলার শানশৌকতের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই অন্য কর্মকর্তারাও। দীর্ঘদিন ধরে প্রো-ভিসির পদ খালি থাকায় তার জন্য বরাদ্দ গাড়িটি বাগিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেন। আর পরিবারের উপভোগের জন্য গাড়ি দখলে নিয়েছেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক রবিউল আওয়াল।
কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সাড়া না পেলেও অবৈধ উপায়ে গাড়ি ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক।
রুয়েটে শীর্ষকর্তাদের গাড়ি দখলের বিষয়ে জানতে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেনের মুখোমুখি হলে কোনো সদুত্তর মেলেনি।
দায়িত্বশীল জায়গায় থেকেও দেশের জ্বালানিখাতে সংকটময় পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিলাসিতা কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে?
উপাচার্য ছাড়াও বাকী দুজনের অবৈধভাবে গাড়ি ব্যবহারে বছরে অন্তত ৬লাখ টাকা অপচয় হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের।