দীর্ঘ দাবদাহের পর শুরু হয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি
- আপডেট সময় : ০৩:৩১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
- / ১৬৮৬ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ কয়েক সপ্তার দাবদাহের পর অবশেষে শুরু হয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। গতকাল থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। আজও থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি। ফলে কমে আসছে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বর্ষাবাহী মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত চলে এসেছে। ৪/৫ দিনের মধ্যেই সারাদেশে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে। এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকায় আজও সারাদেশে বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং আশেপাশ এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি, ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে, পটুয়াখালী সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে মেঘমালা তৈরী অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে আজও ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরীর কারণে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সব মাছধরা ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। পটুয়াখালীতে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল। আগামী সপ্তাহ থেকে বর্ষাকালীন মৌসুমী বৃষ্টি শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ওদিকে, আরব সাগরে সৃষ্ট গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
এটি ভারতের গোয়া ও মুম্বাই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। গতরাত ৯টায় গোয়া থেকে এর দূরত্ব ছিল ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে। গুজরাটের পূর্ববন্দর জেলায় জেলেদের গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটি দু’দিনের মধ্যেই উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে আসবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।