করোনাকালে দারিদ্র বাড়ায় দক্ষিণাঞ্চল এখন মানব পাচারকারীদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। পাচারকারী চক্রটি শহরের বস্তি এবং গ্রামের স্বল্প আয়ের দরিদ্র নারীদের টার্গেট করছে। ভালো বেতনের চাকরি দেয়ার কথা বলে অবশেষে ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে বিভিন্ন যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে তাদের। করোনাকালে মানবপাচারের প্রবণতা বাড়ছে বলে জানিয়েছে বেসরকারী সংস্থাগুলো। আর পুলিশের ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিট দেয়ার কারণে পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর।
১ সন্তানের লেখাপড়া আর সংসারের অভাব মেটাতে ২০১৮ সালে সদূর জর্ডান প্রবাসী হন এই নারী। পড়েন মানবপাচারকারীদের টার্গেটে। টানা দুই বছরে শারীরিক নির্যাতন, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা সয়েও পাননি শ্রমের ন্যায্য মুজুরি।
ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ও ভারতের বিভিন্ন যৌনপল্লী ও ডান্স বারে দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামের বসবাসরত দরিদ্র নারীদের টার্গেট করে বিক্রি করে দিচ্ছে পাচারকারীরা।
মানবপাচারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এই অঞ্চলে নারী পাচার বেড়ে গেছে, বলছে বেসরকারী সংগঠনের কর্মীরা
ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিট দেয়ার কারণে মামলার রায় হয় না। তাই আইনের আওতায় পাচারকারীদের আনা যাচ্ছে না।এমনটাই মত এই আইনজীবীর।
বেসরকারী সংস্থার হিসেবে গত তিন বছরে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় মানব পাচারের শিকার ২ হাজার ২শ’ জনের বেশী।