মায়ের সেবা, সন্তানদের পড়াশোনা এবং মেয়ে বাল্য বিবাহ না দেয়ার ৩ শর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে প্রবেশনে পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দিয়ে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। মাদকের মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মতি মাতবরের মামলায় বিচারপতি জাফর আহমেদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এই রায় দেন। প্রবেশন আইনের অধীনে উচ্চ আদালতের এটিই প্রথম ও ঐতিহাসিক রায় বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
ইয়াবা রাখার অভিযোগে মতি মাতবর কে ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। ২০১৭ সালের ১ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন এবং প্রবেশন সুবিধা চেয়ে আবেদন করে মতি। আবেদনে জানানো হয় ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর গ্রেফতারের পর ২০ মাস কারাভোগ করেছে মতি। ২০১৭ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
রোববার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতে আসে মতি ও তার পরিবার। প্রথম অপরাধ এবং কারাগারে ভাল আচরণের কথা উল্লেখ করে আসামীকে আগামী দেড় বছর প্রবেশন অফিসারের অধীনে পরিবারের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিয়ে রায় দেয় উচ্চ আদালত। এসময় আদালতের ৩টি শর্তের কথা তুলে ধরেন প্রবেশন অফিসার।
বিচারিক ইতিহাসে প্রবেশনের সুবিধা দিয়ে এটিই হাইকোর্টের প্রথম রায় বলে জানান আসামীর আইনজীবীরা।
এসময় আদালতের দেয়া শর্তগুলো মানবেন বলে জানান, প্রথমবার হাইকোর্ট থেকে সুবিধা পাওয়া এই আসামী।
আইনজীবীরা আরো জানান, প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত কোন